শান্তনু, কুন্তলের মতো যুব নেতারা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলছে, জানতেন না যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, উঠছে প্রশ্ন

শান্তনু, কুন্তলের মতো যুব নেতারা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলছে, জানতেন না যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, উঠছে প্রশ্ন
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: চাকরি দেওয়ার নামে দেদার টাকা তুলছিলেন যুব তৃণমূলের দুই নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রীর পদে থেকেও কিছুই জানতেন না সায়নী ঘোষ। দুজনেই আপাতত নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে ইডির জালে। এদিকে সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের ছবিও সামনে এসেছে। একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে দুজনকে। এনিয়ে এখন তুঙ্গে চর্চা। ঘনিষ্ঠমহলে সায়নীর দাবি, তিনি কিছুই জানতেন না। তাহলে প্রশ্ন তবে কি সংগঠনের সব মহল সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখতেন না যুবনেত্রী সায়নী? নাকি সব জেনেও তিনি চুপ করে ছিলেন? তাহলে কেন চুপ ছিলেন, নাকি কারও ইশারায় চুপ করেছিলেন, দলের অন্দরে এখন এসব প্রশ্নও উঠছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার কালীঘাটে দলের সাংগঠনিক সভায় যুব নেত্রীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল নেত্রী সাফ জানিয়ে দেন যুব সংগঠনের প্রসারে ব্যর্থ সায়নী। তারপরই সায়নী সভার মধ্যেই নিজের ব্যর্থতার জন্য নেত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে তাতেও দলের অন্দরে সায়নীর ভূমিকা নিয়ে চর্চা থামছে না। তাই সভার পরদিনই এ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সায়নী ঘোষ। তবে কি ক্ষমা চাওয়ার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে সায়নীর?
শনিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সায়নী বলেন, দলের এখন এমন একটা সময় চলছে যেখানে আত্মবিশ্লেষন বা আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। তার শুরুটা আমি নিজেকে দিয়েই করলাম। আমি নিজেকে দিয়ে আত্মবিশ্লেষন শুরু করলাম। নিজেকে নিয়ে ভেবেছি। আমার দিক থেকে আর কী কী করা যায়, কী কী করা যায়নি, আগামীদিনে আমি আর কী কী করব সেটাও ভেবেছি। দলের প্রতি আমি সব সময় দায়বদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুব সংগঠনের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। সেখানে যদি মনে করে থাকি আমার নিজের কোনও খামতি রয়েছে, তা বলতে কোনও দ্বিধা করবো না। ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমা চাইতে আমার কোনও লজ্জা নেই। সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যুব তৃণমূলের দায়িত্ব পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছে যুব সংগঠন। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে কতটা শক্তিশালী হয়েছে যুব তৃণমূল তা নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, নেত্রীর মুড দেখেই হাওয়া খারাপ বুঝে যান সায়নী। তাই আর দেরি না করে সভার মধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।


