বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও প্লাস্টিকের ভয়ঙ্কর রূপ: পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের আহ্বান

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও প্লাস্টিকের ভয়ঙ্কর রূপ: পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের আহ্বান
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের (World Environment Day) মূল ভাবনা হল- 'প্রতিহত করো প্লাস্টিক দূষণ'। ২০১৮ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আয়োজক দেশ ছিল ভারতবর্ষ। মূল ভাবনা ছিল - 'প্রতিহত করো প্লাস্টিক দূষণ'। অর্থাৎ বিগত পাঁচ বছরে প্লাস্টিক (Plastic) দূষণ প্রতিহত করতে তেমন কিছু কাজ হয়নি। সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রশক্তিগুলির সদিচ্ছা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
প্লাস্টিক দূষণ আজ মনুষ্য সভ্যতার কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিপন্ন সভ্যতা। ইউনাইটেড নেশনস বলছে যে, পৃথিবীর শ্বাসরুদ্ধ করে দিচ্ছে প্লাস্টিক। প্রতি মিনিটে এক লক্ষ প্লাস্টিক বোতল বিক্রি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। প্রতিবছর পাঁচ লক্ষ কোটি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে - এর অর্ধেকই হলো কেবল মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা 'সিঙ্গল ইউজ' প্লাস্টিক। সভ্যতার দুই শত্রু - সিঙ্গল ইউজ' প্লাস্টিক এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক বা পাঁচ মিলি মিটার ব্যাসার্ধের কম ক্ষুদ্রতম প্লাস্টিক কণিকা।
বড় আকারের প্লাস্টিক রোম জল বৃষ্টি নদী-নালা, সমুদ্রস্রোতের আঘাত এবং ঘর্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক-এ পরিণত হয়। ঘরের পুতুল বা গাড়ির চাকার দাগ থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যায়। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক বাতাসে ভাসে, জলে মিশে থাকে। মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, জলের মাধ্যমে নদী-নালা সমুদ্রের যে মাইক্রোপ্লাস্টিক মাছ খায় সেই মাছ খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরের ফুসফুসে, লিভারে, কিডনিতে, প্লীহাতে, জননাঙ্গে এমনকি প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলেও মাইক্রোপ্লাস্টিক এর অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। বিভীষিকাময় অবস্থা। দ্বিমুখী নীতি চলছে। সরকার ২০২১ সালের পয়লা জুলাই থেকে ৭৫ মাইক্রনের নিচের প্লাস্টিক এবং ২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে একশো কুড়ি মাইক্রনের নিচের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কিন্তু ছাড় দিয়ে দিলো মোড়কের প্লাস্টিক যা মোট 'সিঙ্গল ইউজ' প্লাস্টিকের ৫৯ শতাংশ। সরকার যখন সিঙ্গল ইউজ' প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করছে, ভারত তখন সিঙ্গল ইউজ' প্লাস্টিক উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে। এটা দ্বিচারিতা নয়। এই নীতিতে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ করা যাবে? এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার অন্তত শহরের ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করে 'রিসাইক্লিং প্লান্ট' পর্যন্ত একটা পরিচালন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সমর্থ হলো না।
এরপর একই সাথে আসে সার্বিক বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থা। এটাও বর্তমান সভ্যতার কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ। অভিজ্ঞতা বলছে হাসপাতাল বর্জ্যের ক্ষেত্রে একটা ব্যবস্থাপনা থাকলেও প্লাস্টিক ও জৈব বর্জ্যকে একসাথে মিশিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ড ফেলে দেওয়া এতে ভয়ঙ্কর দূষণের অবস্থা তৈরী হয়। কখনও বা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অভাবে বা ভর্তি জনিত কারণে শহরেরই কোথাও আবর্জনার স্তুপ তৈরি করা ও শহরবাসীকে দূষণের মধ্যে ফেলে দেওয়া। পৌর বর্জ্য দিয়ে নিচু জমি ভরাট করা ভয়ঙ্কর এক প্রবণতা - এতে ভূমিধ্বস, ভূগর্ভস্থ জল দূষণ সহ অন্যান্য দূষণের সম্ভাবনা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল (National Green Tribunal) পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কঠিন এবং তরল বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থায় গাফিলতির জন্য ৩৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করে। এনজিটি রায়ে বলে যে, প্রতিদিন শহর এলাকায় ২৭৫৮ মিলিয়ন লিটার ময়লা-আবর্জনা তৈরি হয় কিন্তু পরিশোধন ক্ষমতা রয়েছে মাত্র দিনপ্রতি ১৫০৫.৮৫ মিলিয়ন লিটার। প্রতিদিন প্রায় ১২৬৮ মিলিয়ন লিটার পরিশোধন হয় আর প্রতিদিন ১৪৯০ মিলিয়ন লিটার অপরিশোধিত অবস্থায় থেকে যায়। এমন হলে কিভাবে মোকাবিলা করা যাবে বর্জ্য সমস্যাকে।
বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতি, সমাজ, জীবন-জীবিকা থেকে মনুষ্য প্রজাতির ভবিষ্যৎ বিশ্ব উষ্ণায়ন জনিত জলবায়ু পরিবর্তন ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। মনুষ্য প্রজাতির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। 'ইন্টারগভর্নমেন্টাল পানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)র ষষ্ঠ প্রতিবেদন (সংশ্লেষ) প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি 'ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন' এর প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো যা বলছে তা ভয়াবহ। বলা হচ্ছে আগামী ২০২৭ সালে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ছাড়িয়ে যাবে। 2022-এ আইপিসিসি বলেছিল ২০৪০ সালে এই ঘটনা ঘটবে এবং কলকাতাসহ দেশের ১২ টি শহর এই শতাব্দীর মধ্যেই তিন ফুট জলের তলায় তলিয়ে যাবে। এখন এগিয়ে আসছে চরম পরিণতি! কি করবো আমরা! ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রায় তো বাঁচতে শেখেনি মানুষা কি হবে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর রাষ্ট্র প্রধানেরা শুনছেন?
এরইমধ্যে ২০২১ সালে খরা বন্যা ঝড়, তাঁর তাপ প্রবাহ, দাবানল, ভূমিধ্বাস অবনমন, ভূমিক্ষয়, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে বিশ্বের ২৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে জলবায়ু উষান্ত হয়ে নিজ দেশের অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত আদ্রতা তাপমাত্রার পরিবর্তনে এডিস ইজিপ্টাই এবং এ্যালবোপিকটাস মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটছে। মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া পীত জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। অরণ্যচ্ছেদন এবং ভূমির চরিত্র বদলের জন্য সার্বিকভাবে কোভিড, ইবোলা ইত্যাদি জুনোটিক ডিজিজ বা প্রাণীদের দেহ থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে মানুষের শরীরে উদীয়মান সংক্রামক রোগের ৭০ শতাংশের উৎসই হলো প্রাণীদেহ, অথচ নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস চলছে উন্নয়নের নামে। মামলা মোকদ্দমা, আন্দোলন করেও আশানুরূপ ফল মিলছে না। প্রশাসনের সহায়তা মিলছে না।
তীব্র হচ্ছে জলের চাহিদা, তুলনায় লভ্যতা যাচ্ছে কমে। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন বলছে ১৯৫০ সালে ভারতের জললভ্যতা ছিল ৩০০০ থেকে ৪০০০ কিউবিক মিটার। ২০২১ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৪৮৬ কিউবিক মিটারে। অতিরিক্ত জলোত্তলনে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বিপদসীমা অতিক্রম করছে। একদিকে কৃষিকাজে ৮৯ শতাংশ জলের ব্যবহার অন্যদিকে আগ্রাসী নগরায়নের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের উপর চাপ। জলস্তর নেমে যাওয়া, আর্সেনিকের সমস্যা, লবণাক্ততার সমস্যা, অতিরিক্ত জলোলেনের দরুণ ভূমি অবনমনের সমস্যা। নীতি আয়োগ ২০১৮ সালে বলেছিল ভারতের ২১ টি শহরের ভূগর্ভস্থ জল ভান্ডার নিঃশেষিত হচ্ছে।
নমামি গঙ্গের ২২ হাজার কোটির প্রকল্প সত্বেও গঙ্গা দূষণ আজও কমেনি। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দেশের ২৭৯ টি নদীকে দুষিত বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ২০২২ সালে। পশ্চিমবঙ্গের ১৭ টি নদী দূষিত বলে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ প্রতিবেদনে বলেছিল। সাম্প্রতিক তারা দাবি করেছে চারটি নদী দূষণের আওতার বাইরে বেরিয়ে এসেছে। যথেচ্ছভাবে পশ্চিমবাংলার নদী বক্ষ থেকে বোল্ডার নুড়ি-পাথর, বালি, মাটি বেআইনিভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি নদী গুলোর ক্ষেত্রে এর সাথে আবার নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হচ্ছে। গত বছর ৫ই অক্টোবর জলপাইগুড়ির মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হঠাৎ হড়পা বানে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা চলতে পারেনা।
উন্নয়নের নামে নির্বিচারে ভরাট হচ্ছে জলাভূমি। জলাভূমিগুলি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার। পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রামসার সাইট - মানুষের আক্রমণে বিপন্ন।
আজও দেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের ইআইএ (এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট) হলো না অথচ সরকার বলছে কাজ এগোচ্ছে। তিলাবনি পাহাড় বিক্রির খবর ছিল, স্থানীয় আদিবাসী মানুষজন আন্দোলন গড়ে তোলে - পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ তাদের নিয়ে সভা করে, পাশে থাকে। পুলিশি ধরপাকড়, মামলা চলে। এখনো পর্যন্ত তিলাবনিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা গেছে।
ভয়ংকরভাবে বাড়ছে বায়ুদূষণ। 'স্টেট অফ ইন্ডিয়াজ এনভায়রনমেন্ট ২০২৩ অনুসারে বায়ু দূষণের কারণে প্রতিটি ভারতবাসীর গড় আয়ু ৪ বছর ১১ মাস কমে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই সময়কাল ৫ বছর ১১ মাস, দিল্লির ক্ষেত্রে ১০ বছর, কেরালার ক্ষেত্রে ১ বছর ২ মাস, লাদাখের ক্ষেত্রে মাত্র ৪ মাস। এ থেকেই বোঝা যায় পৃথিবীর দুটি দুষিততম শহরের নাম দিল্লি এবং কলকাতা। কলকাতায় সিএনজি ব্যবহারের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি দেশের সরকার পরিবেশ আইনগুলিকে শিথিল করছে, উন্নয়নের নামে ইআইএ (এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এ্যাসেসমেন্ট) ২০২০ এক সাংঘাতিক পদক্ষেপ। সরকার বন সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে অরণ্যে বসবাসকারী আদিবাসীদের অধিকার লজ্জিত করেছে, এতে বন সংরক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আমাদের দেশের সরকার গ্লাসগোর সিওপি-২৬ মঞ্চে ঘোষণা করেছিল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন দাঁড়াবে ৫০০ গিগাওয়াট কিন্তু এখনও ১৭২ গিগাওয়াটের বেশি উৎপাদন সম্ভব হয়নি। একদিকে গ্লাসগোর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের কার্বন অর্থনীতির ৪৫ শতাংশ হ্রাসের ঘোষণা, তাপবিদ্যুৎ থেকে সরে আসার ঘোষণা আর অন্যদিকে দেশে সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির নতুন তাপবিদ্যুৎ গড়ার ঘোষণা! কী হবে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ?
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ রাজ্যজুড়ে মানুষের মধ্যে নিরন্তর পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলা, প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণে মানুষকে যুক্ত করে আন্দোলন গড়ে তোলা, কলকাতা হাইকোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনালে আইনি লড়াই লড়ছে। লেকটাউনের নয়ানজুলি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ির পাঁচ হাজার গাছ কাটার বিরুদ্ধে, বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদী বক্ষে বেআইনি নির্মান বিরোধ করে এনজিটিতে মামলা লড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির ১৬ কাটা জোড়া পুকুর ভরাট বিরোধ করে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে গাছ কাটার বিরুদ্ধে, মুর্শিদাবাদের বিষ্ণুপুর-চালতিয়া বিল রক্ষায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট সুন্দরবনে তিরিশ হাজারেরও বেশি ম্যানগ্রোভ চারা রোপন করেছে, দেশীয় প্রজাতির বেশ কিছু প্রজাতির ধানের বীজ ব্যাঙ্ক তৈরী করে দেশীয় প্রজাতির ধান চাষ কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করার প্রয়াস নিয়েছে। মালদা জেলার হিজলবন সংরক্ষণ, পাহাড়-তরাই ডুয়ার্স অঞ্চলকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করছে।
পরিবেশ নিয়ে মানুষের আগ্রত জনমতের সাথে মিলুক রাষ্ট্রশক্তির সদিচ্ছা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ঘোষিত নীতিগুলির বাস্তবায়ন, তাহলেই আমরা আমাদের সামনের কঠিন চ্যালেঞ্জকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সমর্থ হবো। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।


