এত কম চাল কেন? গ্লাভস কি সবসময় পরেন? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় টিমের

এত কম চাল কেন? গ্লাভস কি সবসময় পরেন? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় টিমের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বিদ্যালয়গুলোর মিড ডে মিল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় টিম। ৯ জনের একটি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা অনুরাধা দত্ত। সোমবার কেন্দ্রীয় টিমের পরিদর্শকরা উত্তর 24 পরগনার বনমালীপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে যান। সেখানে পৌঁছেই প্রথমে রান্নাঘর দেখতে চান। রান্নায় ব্যবহার করা চাল, আলু, মশলা খতিয়ে দেখেন। পরিদর্শকদের প্রশ্ন, ৮১ জন বাচ্চার জন্য মাত্র ৭ কেজি চাল কেন?
জবাবে রাধুনী বলেন, ১০০ গ্রাম ভাতও বাচ্চারা খেতে পারে না। নষ্ট করে। তাই অল্প করেই রান্না করা হয়। চালের থেকে আলু বেশি থাকায় রাধুনী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা আলু খেতে ভালোবাসে। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখে এই কেন্দ্রীয় টিম। তার আগে বিকাশ ভবনে একটি বৈঠক করে। স্কুলগুলিতে বেরোনোর আগে কেন্দ্রীয় টিমের তরফে অধ্যাপিকা জানান, এটি রুটিন পরিদর্শন। কেন্দ্রীয় দল প্রতিটি রাজ্যে মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের যে ৩২ টি সূচক রয়েছে মিড ডে মিলের জন্য। তার ভিত্তিতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। প্রশাসনের তরফে মিড ডে মিল রান্নায় যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস দেওয়া হয়।
তাই দেখে কেন্দ্রীয় টিমের প্রশ্ন, এগুলো কি সব দিন পরে থাকেন? জবাব আসে, সব দিন গ্লাভস পরলেও অন্যগুলো পরা হয়না। আর এই কেন্দ্রীয় টিমের খতিয়ে দেখা নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, যে প্রকল্পে রাজ্য পুরস্কৃত হচ্ছে, কেন্দ্র সেই প্রকল্পের ক্ষতি করতে নামছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিড ডে মিলে মুরগির মাংস দিচ্ছেন। অন্যদিকে গোটা দেশে এই কাঠামোটাই ভেঙে যাচ্ছে। এরপরই উত্তরপ্রদেশের শিশুমৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরেন কুণাল। সেখানে ১১০ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, মিড ডে মিলের তদন্ত হলে ভয় কিসের? তদন্ত চলুক। ফলে মিড ডে মিল পরিদর্শন নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে।


