বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিন্দু নির্যাতনে মোদি-মমতা চুপ কেন?  

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিন্দু নির্যাতনে মোদি-মমতা চুপ কেন?   
05 Nov 2021, 10:30 AM

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিন্দু নির্যাতনে মোদি-মমতা চুপ কেন?

 

ড. গৌতম সরকার

    

 

দুর্গাপূজোর অষ্টমীর দিন বাংলাদেশের কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের একটি পূজামণ্ডপে কুরআন রাখাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা, খুলনা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী ও সিলেটের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে এবং মন্দিরে ব্যাপক হামলা ও সন্ত্রাস চালানো হয়। নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনী পৌর এলাকায় শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন জুম্মার নামাজের পর বিশাল সংখ্যক মানুষ রাস্তার দুপাশের হিন্দুদের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর করে। পরে তারা কিছু দোকানে অগ্নি সংযোগও ঘটায়। প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়। শনিবারও ফেনীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবরে প্রকাশ তিনদিন ধরে চলতে থাকা সন্ত্রাস হামলায় ৭০ টি পূজামণ্ডপ, ৬৬ টি বাড়ি এবং ৫০টি দোকান ভাঙচুর হয়। যার মধ্যে কুড়িটি বাড়ি এবং বহু দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নবমীর দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি এবং সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বিবিসি-কে জানান, 'মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর হিন্দুদের মধ্যে যে আস্থাটা ফিরে এসেছিল, দশমীর দিন চৌমুহনীতে পুনরায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাস সেই বিশ্বাস টলিয়ে দিয়েছে। তারপর হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা ও ভরসা পুনর্জাগরণের মত কোনও ব্যবস্থা সরকারের তরফে গ্রহণ করা হয়নি।' তিনি আরও বলেছেন, ‘সন্ত্রাসের পর আক্রান্ত এলাকায় মানুষের কাছে যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন সেটা যত বেশি আন্তরিকতা থেকে তার থেকে অনেক বেশি লোক দেখানো ছিল’৷

      

স্বাভাবিক কারণেই এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস হাসিনা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী মালবিকা মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁর বাপের বাড়ি ফেনী আর শ্বশুরবাড়ি নোয়াখালী, এই দুটি জায়গাতেই সন্ত্রাসের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। তাঁর দুই পরিবারের নিকটজনেরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেছেন, অতীতে যে সমস্ত হিন্দুবিদ্বেষী ঘটনা ঘটেছে সেগুলো অনেকটা অঞ্চলভিত্তিক ছিল, কিন্তু এবারে যেভাবে সারা দেশের মুসলমান মৌলবাদীরা হিন্দুদের উপর নির্দয়ভাবে নির্যাতন যজ্ঞে মেতে উঠেছে সেরকম আগে দেখা যায়নি। মালবিকার প্রশ্ন, 'এই দেশে আমরা কতটা নিরাপদ? আমরা কি আদৌ এই দেশে থাকতে পারবো? আমাদের যাদের সঙ্গতি আছে, এতদিন দেশ ছাড়ার কথা ভাবিনি, তাদেরও নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।' এর সাথে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, 'আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম, আমার মেয়েটা এদেশে কতটা নিরাপদ?' এই প্রশ্নগুলো শুধু একজন মালবিকার নয়, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ হিন্দু পরিবারের এই একই জিজ্ঞাসা।

  

 

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতাগণ এই হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারের ভূমিকায় মোটেই সন্তুষ্ট নয়। তাঁদের বক্তব্য প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে তিন-চারদিন ধরে চলতে থাকা দাঙ্গা এড়ানো যেত। তাঁরা প্রশাসনের মধ্যেই ঘাপটি মেরে বসে থাকা মৌলবাদী শক্তির দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের মতে, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের নমনীয় নীতিই বাংলাদেশে এধরণের ঘটনা দিনের পর দিন ঘটিয়ে চলেছে। জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাসের কথায়, 'ঘটনার সাতদিন পর সরকারি তরফে সম্প্রীতির মিছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে একটা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। আগে সরকার হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক, তারপর সম্প্রীতির মিছিলের কথা ভাবা যাবে'৷

   

 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হিংসা নতুন কিছু নয়। ১৯৭১ সালে দেশটি পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধানে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নিজেকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকেই সাম্প্রদায়িক গন্ডগোলের সূত্রপাত। এর আগে খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনও দূর্গাপুজো নিয়ে বহু অশান্তি হয়েছে, বহু অত্যাচার, হিংসা, এমনকি ধর্ষণের মত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে একাধিক হিন্দু পরিবার। এখন একই ঘটনা শেখ হাসিনার জমানাতেও ঘটছে। বাংলাদেশে জামাত গোষ্ঠীর একটা সাংগঠনিক শক্তি আছে যেটি ভোটের সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই কোনো সরকারই এই সংগঠনকে চটাতে চাইবে না বলাই বাহুল্য। খালেদা জিয়ার সাথে জামাতের রসায়ন এখনও নিবিড়, অন্যদিকে হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশকে হয়ত ধর্মনিরপেক্ষ করতে পারেননি, কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করেছেন। তাঁর আমলে দেশের স্থূল জাতীয় উৎপাদন এবং মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন বেড়েছে, কর্মসংস্থানের অনেক উন্নতি ঘটেছে। সর্বোপরি, বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ ইদানিং উল্লেখযোগ্য যোগদান রেখেছে। দেশটির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার ইত্যাদি হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছে। ভারতের সাথেও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইদানিং যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ। এইরকম এক পরিস্থিতিতে পূজোর সময় ঘটে যাওয়া ঘটনা যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়, এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ হওয়া অবশ্য কাম্য। তবে একদিকে নরেন্দ্র মোদিজী এবং অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণাত্মক বিবৃতি না দেওয়ার অর্থ দুজনেই ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন ভাবলে ভুল হবে। ব্যাপারটি সম্যক বুঝতে গেলে এর প্রেক্ষাপটটি ধরতে হবে।

   

বাংলাদেশের সব মুসলমানেরা হিন্দুবিদ্বেষী নয়। যে মৌলবাদী শক্তি হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ করে তাদের আসল উদ্দেশ্য ওদেশ থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দখল করা। এই প্রসঙ্গে ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’-এর প্রেসিডেন্ট সদস্য কাজল দেবনাথের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তাঁর মতে, হিন্দুদের ওপর আক্রমণের মূল টার্গেট হল তাদের জমি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল। এটা ক্ষমতাশালী মৌলবাদী নেতাদের মূল উদ্দেশ্য। সবচেয়ে বড় কথা তাদের আগ্রাসন থেকে ক্ষমতাহীন মুসলমানেরাও নিষ্কৃতি পায় না। এই মৌলবাদী শক্তি হাসিনা জমানায় যেহেতু সরকারের প্রত্যক্ষ মদত পাচ্ছেনা, তাই তাঁদের মূল লক্ষ্য হল যেকোনো উপায়ে হাসিনা সরকারের পতন এবং খালেদা জিয়ার উত্থান। তারা জানে একটি সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষের মনে সরকারের বিরুদ্ধের বিভিন্ন ধরনের অসন্তোষ সৃষ্টি হয়, হাসিনা সরকারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটে নি। সাধারণ মুসলমানদের সেই অসন্তোষকে উসকে দিয়ে ভারত বিরোধীতাকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলে শেখ হাসিনাকে দেশবাসীর চোখে অপদার্থ প্রমাণ করাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। অর্থাৎ ভুললে চলবেনা, দুর্গাপূজার মণ্ডপের চেয়ে এখানে আরও বড় টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা।  এছাড়া হাসিনা সরকারের সাথে নরেন্দ্র মোদির মাখামাখিকেও ভালো চোখে দেখছে না বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষ। একটা সার্বভৌম রাষ্ট্র অন্য দেশের রিমোট কন্ট্রোলে চলবে এটা তারা মানতে পারছেনা। যদিও এরকম কিছুই ঘটছেনা। দিল্লির সাথে ঢাকার সম্পর্ক প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের সৌহার্দ্যের পরিসীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। কিন্তু মৌলবাদীদের প্ররোচনামূলক উস্কানি অনেক শান্তিকামী বাংলাদেশীকেও সরকার বিরোধী করে তুলছে।

  

 

এইরকম পরিস্থিতিতে ভারত সরকারকে খুব সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হচ্ছে। ভারতবর্ষ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উত্তেজক প্রতিক্রিয়া এই দেশের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বিপদ ডেকে আনতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে মোট জনসংখ্যার সাতাশ শতাংশ মুসলমান। সমালোচক, বিরুদ্ধ রাজনৈতিক দল, মিডিয়া তাদের টিআরপি বাড়ানোর জন্য ভোটের সমীকরণের কথা বলবে, কিন্তু যেকোনো সরকারের শাসনকালে সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু সমস্ত মানুষকে নিরাপত্তা প্রদান করা প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এখানেও রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার সেই কাজই করছে। এই মুহূর্তে ভারতের এমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয় যাতে করে নৈতিকভাবে হাসিনা সরকার দূর্বল হয়ে পড়ে আর মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আবার বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিজী খুব বেশি সম্পৃক্ত হয়ে পড়লে ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যাপারে নাক গলাচ্ছে এই বিশ্বাসটি আরও জোরদার হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় মোদি-মমতার ঐক্যমত পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশে বসবাসকারী সমস্ত মুসলমানদের জন্য মঙ্গল। বাংলাদেশের ঘটনায় মুসলিম সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ আগামী দিনে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুতরাং এইরকম এক সংকট মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতাকে 'বাঙ্ময় নীরবতা' হিসেবেই ধরতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বলা যায় তাঁদের এই ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। যদিও সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়, তবুও এই মুহূর্তে এটা নিয়ে বেশি সোচ্চার হলে হাসিনা সরকারকে দূর্বল করে মৌলবাদীদের অবস্থান শক্ত করা হত। তাই এই নীরবতা একটি দায়িত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

  

এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া আটের দশকের ইসলামের নামে সন্ত্রাসের কথা ভুললে চলবে না। ইতিহাস তার সাক্ষী থেকেছে। তৎকালীন মৌলবাদীরা জিহাদে অংশগ্রহণ করে দলে দলে আফগানিস্তানে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে সারা দেশ জুড়ে স্লোগান তুলেছিল, 'আমরা সবাই তালিবান, বাংলা হবে আফগান।' আফগানিস্তানে আবার তালিবান শাসন ফিরে এসেছে, গোটা বিশ্ব এই ঘটনায় সন্ত্রস্ত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি মৌলবাদীদের পুনরায় উল্লসিত হবার মত ঘটনা ঘটেছে। বহু দলে এবং উপদলে বিভক্ত 'ইসলামপন্থী'-দের কাছে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান একটি 'স্বপ্নের রাষ্ট্র' হিসেবে ধরা দিচ্ছে। আফগানিস্তানকে 'মডেল রাষ্ট্র' কল্পনা করে তাদের মনের মণিকোঠাতে বাংলাদেশকেও সেই জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে। সাংবিধানিক আদর্শ যাই হোক না কেন এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক দলের সাথে নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ তালিবানি শাসিত আফগানিস্তানকে মডেল রাষ্ট্র ধরে বাংলাদেশেও একটা 'শরিয়া ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা' গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরও নিশ্চয় বলবেন না আন্তর্জাতিক আঙিনায় শান্তিকামী ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া অমানবিক।

                                      ………xxxx……..

লেখক: অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক

Mailing List