কুণাল ঘোষ এখন বোরোলীন নিয়ে ঘুরছেন কেন, কে চোট দিল, তৃণমূল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

কুণাল ঘোষ এখন বোরোলীন নিয়ে ঘুরছেন কেন, কে চোট দিল, তৃণমূল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ জীবনের ওঠাপড়া আর তাঁর গায়ে লাগে না। কারণ, তিনি সবসময় পকেটে বোরোলীন রাখেন। শাস্তি পাওয়ার পরদিন সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শনিবারই আনফোল্ড বাংলা-র পাঠকদের জানিয়েছিলাম, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ে মুখ খুলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ধমক খেয়েছিলেন কুণাল। সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার কিছু পরে বেশি রাতে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় দল। শাস্তিস্বরূপ আগামী ১৪ দিন তিনি মুখপাত্র হিসেবে দলের কোনও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে বলতে পারবে না। একই সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়েও তিনি কিছু বলতে পারবেন না। সেদিনের প্রেসমিটে তিনি যেভাবে মুখপাত্রের জার্সি খুলে স্বমূর্তি ধরেছিলেন তা দল ভালো ভাবে নেয়নি। নেওয়ার কথাও নয়। কারণ নিজের আবেগ বা যন্ত্রণা নিয়ে বলার জন্য দল তাঁকে এ দায়িত্ব দেয়নি।
দলের কথা, দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই মঞ্চ ব্যবহার করে নিজের গায়ের ঝাল মিটিয়েছেন। সুত্রের খবর, এরপরই একে একে দলীয় নেতারা শীর্ষনেতৃত্বের কাছে কুণালের শাস্তির দাবি জানান। প্রাথমিক ভাবে দল তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে কথাই ভেবেছিল। কিন্তু চাপ বাড়তে থাকায় বেশি রাতের দিকে কুণালের ওপর এই সাময়িক শাস্তির খাড়া নেমে আাসে। যদিও রবিবার সকালে কুণাল স্পষ্টই বলেছেন, তিনি দলের কঠিন দিনের সৈনিক। তিনি তৃণমুলে ছিলেন, তৃণমূলে আছেন এবং তৃণমূলের একজন সৈনিক হিসেবেই থাকবেন। তিনি বলেন, দলে থাকলে দলের কথা মানতে হয়। আমি দলের সৈনিক। তাই সব মেনে নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সেনাপতি, তাঁকে আমি অত্যন্ত ভালোবাসি। তাই দলের নির্দেশ মেনেই আমি চলবো।


