কেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্মভূষণ পুরষ্কার ফেরালেন? এর উত্তর জানতে আগ্রহী মানুষ

কেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্মভূষণ পুরষ্কার ফেরালেন? এর উত্তর জানতে আগ্রহী মানুষ
সুমন ঘোষ
বামপন্থী রাজনীতি সব সময় একটা মোড়কে ঘেরা। মোড়কের বাইরেও অনেক কিছু আসে। তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। যে প্রশ্নের উত্তরও দেন এ রাজ্যের বামপন্থীরা। তা কী সব সময় মনঃপূত হয় মানুষের? নাকি বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়?
যদিও প্রশ্নের উত্তরেও তার আসল বস্তু মেলে না কিছু। অন্তত সাধারণের বোধগম্য হয় না।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী থেকে সরে আসা। পরে ঐতিহাসিক ভুল ব্যাখ্যা করা। আবার কমিউনিস্টদের দায়িত্ব দিলে নাকি নিতে হয়, সেই তত্ত্ব। সব মিলিয়ে অনেক কিছুই প্রশ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম থেকে হেয় করা। আবার সিপিএমের নতুন প্রজন্ম, যিনি এখন সত্যিই জনপ্রিয়ও বটে, সেই দীপ্সিতা ধর পর্যন্ত একটি সংবাদমাধ্যমে লাইভে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা না করে পারেননি। সব ক্ষেত্রে না হলেও কিছু ক্ষেত্রে। অনেকটা তালগোল পাকিয়ে যায়।
এবার নতুন বিতর্ক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে। কারণ, তিনি পদ্মভূষণ পুরষ্কার নিতে চাননি। অনেকে হাততালি দিচ্ছেন। অনেকে বাহবা দিচ্ছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু কেন? তার উত্তর কী মিলছে?
এমন নয় যে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু পুরষ্কার নেননি। ২০০১ সালে মাদার টেরেজা পুরস্কার নিয়েছিলেন তিনি। যার পুরস্কার মূল্য ছিল ২ লক্ষ টাকা ও মেডেল। ২০০৫-এ ‘ইন্সস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন এডুকেশন’ জ্যোতি বসুকে বিশেষ সম্মান দেয়। ২০০৭-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ডক্টর অব ল’ দেয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডি-লিট’-ও দিতে চেয়েছিল, কিন্তু সেটা তিনি নেননি।
এ তো গেল বড়দের কথা। বাকি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের ঘরে গেলে দেখা যাবে তাঁদের সাধ্যমতো হাজারো পুরস্কারের ঝুলি সাজানো বাড়িতে। তাহলে এই পুরস্কার ফেরানোর মধ্যে তাৎপর্য কী? যেহেতু এটা দেশের সম্মানের বিষয়। সিপিএম নেতাদের কথায়, দেশের জন্য কাজ করার জন্য পুরস্কারের প্রয়োজন কোথায়? তাহলে এই সম্মানগুলি চালু করা হয়েছিল কেন? তা প্পতি বছর দেওয়া হচ্ছে কেন? এর উত্তর সরাসরি বামপন্থীদের দেওয়া কী উচিত নয়? দেশের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে এমন পুরস্কার কী হঠাৎ এসে হাজির হল? নাকি আগেও ছিল?
বিতর্ক হয়তো চলবে। তবে সিপিএম কিছু উত্তর দিয়েছে। তা টুইটে। সেখানে কী রয়েছে? তা আর একবার দেখিয়ে দিতে সেই টুইট গুলিও ট্যাগ করা হল।
Com. Buddhadeb Bhattacharya who was nominated for the Padma Bhushan award has declined to accept it. The CPI(M) policy has been consistent in declining such awards from the State. Our work is for the people not for awards. Com EMS who was earlier offered an award had declined it. pic.twitter.com/fTmkkzeABl
— CPI (M) (@cpimspeak) January 25, 2022
বুদ্ধদা'র পক্ষে তাঁর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া, ঘনঘন ওঠাবসা করা দুরূহ। জরুরি বিষয়ে তাঁর পরামর্শ নিতে হলে আমাদের কাউকে না কাউকে,তাঁর কথা শুনে সেটা লিখে শুনিয়ে,তাঁর সম্মতি নিতে হয়। তাঁর মস্তিষ্ক আগের চেয়ে সক্রিয়।আলোচ্য বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া হুবহু প্রকাশ করার দায়িত্ব আমাদের। pic.twitter.com/q0s3viGdGa
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) January 25, 2022


