স্নানের সময়েই কেন আসে সৃষ্টিশীল ভাবনা!

স্নানের সময়েই কেন আসে সৃষ্টিশীল ভাবনা!
29 May 2023, 01:00 PM

স্নানের সময়েই কেন আসে সৃষ্টিশীল ভাবনা!

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ কোনও জটিল সমস্যা মনের মধ্যে এলেই স্নান ঘরে চলে যান। আর স্নান করতে করতেই পেয়ে যান সমাধান। তবে সেক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হোক বা সৃষ্টিশীল ভাবনা, সব কিছুই যেন এই সময় মাথায় খেলে যায়। জেনে নিন কারণ-  

আমাদের সৃষ্টিশীলতার পেছনে অনেকটা ভূমিকা পালন করে ডোপামিন। ফিল-গুড এই নিউরোট্রান্সমিটারের ক্ষরণ আসলে আমাদের মনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে তোলে। আর আনন্দময় মনই হয়ে উঠে সৃষ্টির উর্বর জায়গা। এই ডোপামিন(dopamin) ক্ষরণ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ব্যয়াম করা বা পছন্দের সিনেমা দেখার সময় যেমন হতে পারে, তেমনই ঈষদুষ্ণ জলে স্নানও ডোপামিন ক্ষরণের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। আবার এই ক্ষরণ জন্ম দেয় আলফা ওয়েভের। দুয়ের যুগলবন্দি ভাবনার দিক থেকে মানুষকে অনেকটাই এগিয়ে দেয়।

এছাড়া আমাদের শরীরের(health) ‘ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক’ও চাঙ্গা হয়ে ওঠে ডোপামিন ক্ষরণে। এতে আমাদের মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। অবচেতন মনের সঙ্গেও যোগাযোগ নিবিড় হয়। সাধারণ অবস্থায় বিক্ষিপ্ত চিন্তায় মন স্থির হতে পারে না। যার ফলে ভাবনা দানা বাঁধে না। বা মানচিত্র ফুটে উঠেও হারিয়ে যায়। কিন্তু ডোপামিন ক্ষরণের দরুণ এই ডিএমএন সক্রিয় হলে, মন অনেকটাই একটা বিষয়ে নির্দিষ্ট বা ফোকাসড হতে পারে। যার ফলে সমস্যার সমাধান হোক বা সৃজনশীল ভাবনা, এই সময়টা অনায়াসে মাথায় চলে আসে, যা সাধারণ সময়ে অধরা থেকে যায়।

সাধারণ আমরা সকালে বা রাতেই স্নান করি। সকালের দিকে, কর্মব্যস্ততায় ঢুকে পড়ার আগে মন যেমন শান্ত থাকে, তেমনই দিনের শেষেও শরীর ও মন অনেকটা রিল্যাক্সড থাকে। এই অনুকূল পরিস্থিতিও সৃজনশীলতায় সহায়ক হয়। তাই স্নানের সময় যা আইডিয়া মাথায় খেলে যায়, তা কিন্তু নেহাতই কাকতালীয় নয়। এর পেছনে আছে বৈজ্ঞানিক যুক্তিও।

Mailing List