সখি ভালোবাসা কারে ... সেকি কেবলি যাতনাময়

সখি ভালোবাসা কারে ... সেকি কেবলি যাতনাময়
বৈশাখী নার্গিস
ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীরা সবসময়ই লাজুক। আর এই উপমহাদেশে নারীর ভালোবাসা জানান দেওয়াটাকে অনেক ক্ষেত্রে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে দেখা হয়। যার ফলে মনে মনে ভালোবাসা পুষে রাখলেও অনেক নারীই তা প্রকাশ করেন না। তাই ভালোবাসা নারীর কাছে যাতনাময়। অন্যদিকে কেউ কেউ একদমই বিপরীতমুখী। ভালোবাসা প্রকাশে তারা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না।
প্রেমিক, পরিবার, স্বামী, সন্তান, বাবা-মা কিংবা কোনো বন্ধুর জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারা নিঃসন্দেহে চমৎকার অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা নিজের ঝুলিতে পুরতে নিজেকে প্রকাশ করুন প্রিয়জনের কাছে। ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন তাদের মাঝে। ভালোবাসি ছোট্ট এই শব্দ উচ্চারণ করার আগে মনে উঁকি দেয় কতশত ভাবনা। কে কী ভাববে, কেউ মন্দ বলে যদি কিংবা এটা বলারইবা কী আছে এমন অযথা সংকোচ ঘিরে ধরে। এমন সংকোচ চোখ বন্ধ করে ঝেড়ে ফেলুন। প্রিয়জনকে, ভালোবাসার মানুষকে নিঃসংকোচে বলুন ভালোবাসি। দেখবেন ছোট্ট এ শব্দেই ঘটে যাবে মিরাকল, যা হয়তো আপনি কল্পনাই করেননি।
এ উপমহাদেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে অপারগ থাকেন সন্তানরা। বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটে। সন্তানের প্রতি বাবা-মা কিংবা বাবা-মায়ের প্রতি সন্তান ভালোবাসার সব রকম উদাহরণই তৈরি করেন। কেবল ভালোবাসি বলাটাই হয়ে ওঠে না। নানাভাবে নানা কাজের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটালেও কখনো মৌখিক ভালোবাসার প্রকাশ সম্পর্ককে আরও কিছুটা মসৃণ করে তোলে। তাই চেষ্টা করুন ‘ভালোবাসি’ বলার অভ্যাস গড়ে তোলার।
তবে এমনটা ভাবারও কোনো কারণ নেই যে কেবল মৌখিকভাবে ভালোবাসি বললেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো সম্ভব। বরং ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে ভালোবাসাময় যেকোনো বাক্য, আবেগ-অনুভূতিও সমান ভূমিকা পালন করতে পারে।
সাংসারিক নানা ঝামেলায় সঙ্গীকে হয়তো ভালোবাসা বোঝানো হয়ে ওঠে না। একসময় যাকে না পেলে জীবন মলিন হবে বলে ভাবতেন এখন হয়তো তাকে দেয়ার মতোই সময় মিলছে না। অথচ এটা সম্ভব নিজেরা খানিকটা বোঝাপড়া করে নিলেই। খুব বেশি কিছু না হয়তো, দুই কাপ চা হাতে, বারান্দায় অল্প কিছু সময় গল্প করে কাটালেও কিন্তু মন্দ না। ভালো লাগা, খারাপ লাগা ভাগাভাগি করে নিন। ব্যস, জীবন সুন্দর করে তুলতে আর কী দরকার!


