অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায় টুম্পারানি মন্ডলের নাম কোথায়? আত্মঘাতী নন্দীগ্রামের শিক্ষিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায় টুম্পারানি মন্ডলের নাম কোথায়? আত্মঘাতী নন্দীগ্রামের শিক্ষিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায় নাম ছিল বলে এক শিক্ষিকার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লো সোশ্যাল মিডিয়ায়! আত্মঘাতী হওয়া মহিলা নাকি দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা টুম্পারানি মণ্ডল। রবিবার রাতে নন্দীগ্রামের শরিপুর গ্রামে ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে শিক্ষিকার দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে এই আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষিকার ছবি-সহ একটি তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা নিয়ে শোরগোল। কিন্তু তা কতটা সত্য? তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিক্ষিকা টুম্পারানি মণ্ডলের বয়স তিরিশের মতো। তিনি ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিলেন। ২০১৯ সালে চাকরি পান। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। টুম্পাদেবীর বাড়ি চণ্ডীপুরের ডিহিকাশিমপুর গ্রামে। বাপের বাড়ি চন্ডীপুরের বুরুন্ডা গ্রামে। তবে স্বামীর সঙ্গে শরিপুর গ্রামের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। রবিবার সন্ধেবেলা বাড়ির বাইরে ছিলেন স্বামী। তখনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন টুম্পাদেবী। স্বামী বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন। তখন জানালা দিয়ে দেখেন ঝুলন্ত দেহ। তা দেখার পরই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তালিকা এবং ছবি
সম্প্রতি ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষিকার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই তালিকা প্রকাশ করে ওয়েবসাইটেও দেয় সম্প্রতি। কিন্তু ১ ডিসেম্বর এসএসসি-র তরফ থেকে যে তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়, সেখানে ১৮৩ জনের মধ্যে টুম্পারানি মন্ডলের নাম দেখা যায়নি।
http://westbengalssc.com/sscorg/wbssc/download/notice/Compliance%2001_1_Dec_2022.pdf
তালিকার লিঙ্কও দেওয়া রইলো এখানে। যা ক্লিক করলে মিলবে ১৮৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম।


