তৃণমূলেও চোর আছে, প্রকাশ্যে নিজেই কেন স্বীকার করলেন মন্ত্রী! তাও পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুহুর্তে!

তৃণমূলেও চোর আছে, প্রকাশ্যে নিজেই কেন স্বীকার করলেন মন্ত্রী! তাও পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুহুর্তে!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: তৃণমূলের মধ্যে ফের বিবেকের ভূমিকায় দলের বর্ষীয়ান নেতা ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ফের প্রকাশ্যে দলীয় সভায় আত্মসমালোচনায় মাতলেন খড়দহের বিধায়ক। তিনি বলেন, লোকে বলছে আপনাদের দলে চোর আছে। আছে তো। আমি তো সেই দল খুঁজছি যে দলে একটাও চোর নেই। খুঁজে পেলে আমি রোজ সেই দলের পার্টি অফিস ঝাড় দেবো। শোভনদেবের এই মন্তব্যের পর ফের দলের অন্দের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সিপিএম নেতারা বলছেন, এভাবে তিনি আসলে ঘুরিয়ে দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি কোনও দল জোর দিয়ে বলতে পারে তাদের দলে চোর নেই, সেই দলের পার্টি অফিস আমি ঝাড়ু দেব প্রত্যেক দিন। এর আগেও অবশ্য একাধিক বার এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গরুপাচার, কয়লা পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলায় বেকায়দায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের অভিযোগ, গোটা তৃণমূল দলটাই চোরে ভরে গিয়েছে। বিরোধীদের টানা আক্রমণে কার্যত বেসামাল শাসক শিবির।
তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, রাস্তাঘাটে তাঁদের চোর বলা হচ্ছে। কিন্তু দলের সবাই চোর নয়। যে বা যাঁরা অন্যায় করেছে তাঁদের শাস্তি হবে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এসে দলেরই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মুখে এমন কথা ঘিরে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে গরুপাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন একের পর এক অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক শিবির। বিরোধীরা স্লোগান তুলছে, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। এমন অস্বস্তির মধ্যে শোভনদেবের এই মন্তব্য আরও অস্বস্তি বাড়ালো বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।


