সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার স্বচ্ছতা আনতে এবার ভিডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত

সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার স্বচ্ছতা আনতে এবার ভিডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগ্রহ কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা এবং চাল কলে সেই ধান থেকে চাল বের করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াটিই ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে রাজ্যের খাদ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১ লা এপ্রিল থেকে চলতি মরশুমের জন্য সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে খাদ্য দফতর একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন। তিনি জানান, ধান সংগ্রহ ও চাল সরবরাহের প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি সংগ্রহকেন্দ্র থেকে চাল কলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত গাড়ির ওপর জিপিএস মারফত নজরদারি করা হবে। প্রত্যেক সংগ্রহ কেন্দ্রের দ্বায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের প্রতি ১৫ দিন অন্তর বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। ভ্রাম্যমান সংগ্রহকেন্দ্র গুলির ওপরেও কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালানো হবে বলে মন্ত্রী জানান।
উল্লেখ্য চলতি মরশুমে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ২০০০ স্থায়ী সংগ্রহকেন্দ্রের পাশাপাশি ১০০ টি ভ্রাম্যমান ক্রয় কেন্দ্র থেকে কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ বার চাষিদের আধার কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ধান সংগ্রহের গতি বাড়াতে আপাতত 'বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং' ব্যবস্থাকেই স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও গ্রামে গ্রামে ধান কেনার জন্য শিবির করার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলিকে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ শিবির করতে হবে। একটি গ্রামে সাত দিনের বদলে প্রয়োজনে দশ দিন করে শিবির করতে হবে। তবে, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল প্রকৃত কৃষকের বদলে দালালরা সরকারি দামে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করত। সেই কারণেই বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং ব্যবস্থা আনা হয়। এখন বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং বন্ধ রেখে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই দালাল চক্রের রমরমা আবার ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই কারণেই বাড়তি সতর্কতা মূলক এই সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে খাদ্য দফতর।


