সময় দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট, পাতিয়ালা কোর্টে আত্মসমর্পণ সিধুর

সময় দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট, পাতিয়ালা কোর্টে আত্মসমর্পণ সিধুর
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাস্তায় গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বিবাদ। তা থেকে বচসা, হাতাহাতি। আর হাতাহাতির পরই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। প্রায় ৩৪ বছর আগের সেই মামলায় শুক্রবার পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু।
এর আগে এদিনই আত্মসমর্পণের জন্য আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পত্রপাঠ জানিয়ে দেয় কোনও সময় দেওয়া হবে না সিধুকে। এদিনই আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপরই আর দেরি না করে পাতিয়ালা কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এই কংগ্রেস নেতা।
বৃহস্পতিবার এই মামলায় তাঁকে এক বছরের হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পঞ্জাবের রাস্তায় গুরনাম সিং নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা বাধে সিধুর। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন তিনি। তাতে মাথায় আঘাত পান ওই ব্যক্তি, পরে সেই আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে সিধুর বিরুদ্ধে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। গত শুক্রবার মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করায় রায়দান স্থগিত রাখা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মৃতের পরিবারের তরফে এই পিটিশন জমা পড়ে। সেখানে দাবি করা হয়, সিধু ওই ব্যক্তিকে খুন করেছেন। কিন্তু খুনের পরিবর্তে সিধুর বিরুদ্ধে ৩২৩ অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত আঘাতের মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট সিধুকে এক বছরের হাজতবাসের সাজা শোনায়।



