জেসিবি দিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলা! মরণ ফাঁদে পড়ে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু লরির খালাসীর

জেসিবি দিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলা! মরণ ফাঁদে পড়ে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু লরির খালাসীর
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান
দামোদরের খাদান থেকে লরিতে বালি লোড করতে এসে খাদানের চোরা গর্তে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল খালাসীর। মৃতর নাম সাজিবুল শেখ (১৮)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বামনিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সবিস্তার খতিয়ে দেখার পর বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরে খবর দেয়। বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের ডুবুরি দল প্রায় চার ঘন্টা ধরে দামোদরের জলে তল্লাশি চালিয়ে খালাসীর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত খালাসী সাজিবুল শেখর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার দায়েরপড়া গ্রামে। সে পেশায় লরির খালাসী ছিল। সাজিবুল যে লরির খালাসী ছিল তার চালক সাজাহান শেখ একই এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জেনেছে। বালি খাদানে দাঁড়িয়ে সাজাহান শেখ বলেন,লরিতে বালি লোড করার জন্য এদিন বেলা আনুমানিক দশটা নাগাদ তিনি ও সাজিবুল বামুনিয়ার খাদানে পৌছান। লরিতে বালি লোড করতে দেরি হবে বলে খাদানের শ্রমিকরা জানিয়ে দেওয়ায় তিনি খাদান চত্ত্বরের এক জায়গায় দুপুরে খাওয়ার জন্য ভাত মাংসা রান্না করা শুরু করে দেন। ওই সময় প্রচণ্ড গরম লাগছে বলে জানিয়ে সাজিবুল দামোদরে স্নান করতে চলে যায়। স্নান করতে নেমে দামোদরের গভীর চোরা গর্তে পড়ে গিয়ে সজাবুল তলিয়ে যায়। তাতেই তার মৃত্য হয় বলে লরি চালক সাজাহান শেখ জানিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দা শেখ সাহেব বলেন, জেসিবি দিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলার জন্য দামোদরের একএক জায়গায় গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই সব গর্তের গভীরতাও অনেক। ওই গর্তগুলি জলে ভরে থাকলে তার গভীরতা বোঝা কারুর পক্ষেই সম্ভব হয়।দামোদরের বুকে এইরকম অজশ্র মরণ ফাঁদ গর্ত তৈরি হয়ে রয়েছে। স্নান করতে নেমে দামোদরের সেই রকমই একটি মরণ ফাঁদ গর্তে পড়ে তলিয়ে যাওয়াতেই এদিন লরির খালাসীর মৃত্যু হল বলে শেখ সাহেব জানান। জেসিবি দিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে দামোদর থেকে বালি তোলা বন্ধ না হলে এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটতেই থাকদে বলে এলাকার অন্য বাসিন্দারা মন্তব্য করেছেন।


