পাতা উল্টে যায়, খুলে দিয়ে ভাঁজ

পাতা উল্টে যায়, খুলে দিয়ে ভাঁজ
কৈশোর পেরলো একুশ শতক। আজ তার তারুণ্যের প্রথম সকাল।টিন এজের ফেলে আসা সাত বছর সাতরঙা রামধনু হয়ে ছেয়ে রেখেছে স্মৃতির আকাশ। কৈশোরের কিশলয় পর্ণে পরিণত। যৌবনের শ্যামল পল্লবের হাতছানি। মধ্যে এই বড়জোর বছর পাঁচেক কোনওরকমে ছিনিয়ে নেওয়ার পালা। জাগরণের খোলা জানলা থেকে একটু ঝুঁকে পথ চলা ভিড়ের দিকে। হ্যাঁ, আমরা এই এখানে তিলোত্তমা কলকাতার সেই শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হয়ে ওঠার দিনের ফুলরেণু মেখে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের দায় বাংলার, মানে মহা বাংলার আজকের-কালকের-আগামীর দিন-রাতের স্বপ্ন-কল্পনা, স্বপ্নভঙ্গ বেদনার এবং উজ্জ্বল দিনের দিকে তাকিয়ে সেই পুরনো পথিকের মতো আকাশে মাথা আর মাটিতে পা রেখে মানুষের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে কান পেতে রাখা। আমরা এক নিঃশ্বাসে ধীর থেকে দ্রুত লয়ে পা মিলিয়ে চলতে চাই আসমুদ্র হিমাচল- পথচারীদের সঙ্গে। আজ থেকে শুরু ২০২০। ২০-২০-র ক্রিকেটকাব্য শুরু হয়েছে তো কবেই, যখন মহাকাব্যের যুগের রেশ কাটেনি। তাই, আমাদের পতৌদি-গাভাস্কার, কপিল দেব, আজহার, সৌরভ চিরায়ত শিল্পে অমলিন থাকুন। আজ সেই ধারার সৌরভের পিচে আমরা বিরাট রানের আশায় বুক বাঁধছি নবযুগের নতুন ২২ গজে। খেলা হোক, মেলা হোক - আমাদের সারাদিন-সারারাত পথ চলা অবিরাম। এই চলমান জীবনের আশাবরী, ইমন আর দেশ একে-একে আমাদের ‘আনফোল্ড বাংলা’র পাতা উল্টে যাক।


