কৃষকদের চাপেই পাম তেল নিয়ে পিছু হঠল সরকার?

কৃষকদের চাপেই পাম তেল নিয়ে পিছু হঠল সরকার?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল মোদি সরকার। সুখবর এল সুদূর জাকার্তা থেকে। পাম তেল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইন্দোনেশিয়া সরকার। আগামী ২৩ মে থেকে ফের পাম তেল রফতানি শুরু করছে তাঁরা। পাম তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় রাতারাতি সাবান, ডিটারজেন্ট, চকোলেট, ভোজ্য তেল-সহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছিল।
অবশেষে ইন্দোনেশিয়া জানাল, আগামী সোমবার, ২৩ মে থেকে ফের ওই তেলের রফতানি শুরু হতে চলেছে। নিঃসন্দেহে এই খবরে স্বস্তিতে নয়াদিল্লি। লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধিতে নাজেহাল কেন্দ্রীয় সরকারও কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো জানিয়েছেন, রান্নার তেলের সরবরাহ ও পাম তেল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এর ফলে সোমবার ২৩ মে থেকে ফের রফতানি শুরু হবে পাম তেলের। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও পুরো বিষয়টিতে কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার পাম তেলের দাম এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই তাঁরা নিষেধাজ্ঞা তুলছেন। গত মঙ্গলবার থেকেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, রফতানি বন্ধ হতেই তাঁদের উপার্জন রাতারাতি কমতে কমতে অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, কৃষকদের চাপেই পাম তেল নিয়ে পিছু হঠল সরকার।
ইন্দোনেশিয়া থেকে সবথেকে বেশি পাম তেল আমদানি করে ভারত ও চিন। যা বাকি বিশ্বের চাহিদার সমান। এই তেল কেবল ভোজ্য তেল হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না। পাম তেল বিস্কুট, মার্জারিন, ডিটারজেন্ট, চকোলেটের মতো আরও নানা সামগ্রী তৈরির কাজে লাগে। অবশেষে জাকার্তার এই ঘোষণার পর পরিস্থিতি বদলের আভাস দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।



