পুরপ্রধানদের বেহিসাবী খরচ! ১২৮ জন চেয়ারম্যানের নগদ টাকা খরচের ক্ষমতা কমাতে চলেছে রাজ্য

পুরপ্রধানদের বেহিসাবী খরচ! ১২৮ জন চেয়ারম্যানের নগদ টাকা খরচের ক্ষমতা কমাতে চলেছে রাজ্য
19 Aug 2022, 07:50 PM

পুরপ্রধানদের বেহিসাবী খরচ! ১২৮ জন চেয়ারম্যানের নগদ টাকা খরচের ক্ষমতা কমাতে চলেছে রাজ্য

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। এর আগেই রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের আয় ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা আনতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সমস্ত দফতরের আয় ব্যয়ের ওপর প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্যের ৭টি পুরনিগম এবং ১২১টি পুরসভার চেয়ারম্যানদের নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রে ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দিতে চলেছে নবান্ন।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যের বেশ পুরসভা ও পুরনিগমগুলির বিরুদ্ধে  অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তার জেরেই এবার রাজ্যের ৭টি পুরনিগমের মেয়র ও ১২১টি পুরসভার চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে বকেয়া হিসেব সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের সরকারি টাকা খরচের যাবতীয় লেনদেনের হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। পাশপাশি আগামী মঙ্গলবার নবান্ন এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। সেও বৈঠকে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুরসচিব।  

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সব পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া মনোভাব নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। পুরনিগমগুলির মেয়ররা ও পুরসভার চেয়ারম্যানরা যাতে আর নিজেদের খেয়াল খুশিমতো নগদ টাকা খরচ করতে না পারেন তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। উল্লেখ্য, আগেই রাজ্যের পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে ইচ্ছামতো কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। এবার নিয়ম ভেঙে নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রেও মেয়র ও চেয়ারম্যানদের হাত পা বাঁধতে চলেছে নবান্ন। রাজ্যের প্রত্যেকটি পুরনিগম ও পুরসভায় বছরে একবার অডিট করে এজি বেঙ্গল। নিয়ম ভেঙে টাকা খরচ ও কর আদায়ে একাধিক অনিয়মের ক্ষেত্রে এজি’র তোলা এই আপত্তিকর রিপোর্টকেই ‘অডিট প্যারা’ বলা হয়। বিভন্ন  পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এধরনের প্রায় সাড়ে পাঁচহাজারের বেশি অডিট প্যারা রয়েছে।

 

নিয়ম অনুযায়ী, এজি’র তোলার আপত্তি ‘অন স্পট’ মীমাংসার সুযোগ থাকে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট পুরসভার আধিকারীররা বেআইনি খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারলে সেটি আর অডিট প্যারা হিসেবে এজি’র খাতায় ওঠে না। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘ কয়েক বছরের এই হাজার হাজার প্যারা অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। তার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যেই মঙ্গলবারের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Mailing List