চুমু খাওয়া দুই ঠোঁট, ভাগ হয়ে অন্য জোট, মোদি-মমতা কে? প্রশ্ন করবেন না?

চুমু খাওয়া দুই ঠোঁট, ভাগ হয়ে অন্য জোট, মোদি-মমতাকে প্রশ্ন করবেন না?
সুমন ঘোষ
ভীষণ অবাক লাগছে।
রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু – আমরা বুঝি না।
ভোট এলো, তাই বুঝছি।
কেন বুঝছি? প্রথম ধরি বিজেপিকে। কারণ, কেন্দ্রে তাঁরা। ভারতবর্ষের দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। তারপর আসি পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়।
দু’পক্ষকেই যদি প্রশ্ন করি, যাঁদের নিয়ে কথা বলছেন তাঁরা কারা? আপনারাই বা কেন বলছেন? কেউ ভুল বলছেন, কেউ ঠিক বলছেন, তার নানা ব্যাখাও দিচ্ছেন। টিভি ও খবরের কাগজ সে সব দেখাচ্ছে। বাড়ির কচিকাঁচারা কী ভাবছে? কী শিখছে? আপনাদের মতো একাধিক ঘর আমাদের নেই। ছোট্ট ঘর। তাই সবাই দেখছে। এটা কাদের অপমান?
আমাদের সহজ কথা। বিজ্ঞান জানতে চাইসে বিজ্ঞানের মানুষকে জিগ্যেস করি, ইতিহাস হলে ইতিহাসের শিক্ষক- আপনারা রাজনীতি করেন মানে কী সবজান্তা ঘুগনিওয়ালা!!!!
যদি কিছু বলতে হয়, সে বিষয়ে বিশদে জেনে নিতে আপত্তি কোথায়। না জানলে অপরাধ নেই, কিন্তু ভুল বললে নিজেকেই ছোট করা হয়। অপরকে খিল্লি করতে গিয়ে, নিজেরাই খিল্লি হচ্ছেন জনগণের কাছে? মানুষ যাঁদের দেশ বা রাজ্য চালানোর দায়িত্ব সঁপেছেন, ক্ষমতার শীর্ষ আসনে বসিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে কী ভুল শুনতে ভালো লাগে!
সব বিষয়েই বিশারদ রয়েছেন। তাঁরা ঘর, সংসার, আনন্দ সব ছেড়ে কৃচ্ছ্রসাধন করে সেই বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন। সেক্ষেত্রে বাগড়া দিতেও আপনারা ছাড়েন না। তাঁরা সত্যি বললেও বিপদ, না বললেও বিপদ। যার বিপক্ষে যাবে, সেই তাঁকে ছাড়বেন না। আবার তাঁরা সব সময় তাবেদারিও করতে রাজি থাকেন না। আর এই কারণেই, আপনারা সুশিক্ষিতদের রাখেন না বা রাখলেও তাঁরা থাকেন না।
এখন, যে নাকি ক্ষমতায়, শিক্ষায় নাই দায়।
কারণ, তাঁকে জনগণ বসায়
অনুগ্রহ করে বলি, আপনারাই শেষ কথা বলেন। আপনারা পরিবর্তন হন। এখনকার হিসেবে, একজন আর একজনকে তো চোর-ডাকাত-তোলাবাজ বলেছেন। মানুষ, মানে যাঁদের জন্য আপনারা ক্ষমতায়, তাঁরা কিন্তু সবই বুঝছেন। কোনদিন মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিলে অবস্থা কেমন হবে ভেবে দেখেছেন।
আর একটা কথাও বলা যায়, যদি সবাই মানুষের জন্যই করবেন, একে অপরের লড়াইয়ের দরকার তী? জার্সি বদলেরই বা দরকার কী? এত কূ-কথার বন্যায় বা কেন? জনগণ কিন্তু সব দেখছে। সবাইকে দেখছে।
চুমু খাওয়া দুই ঠোঁট
ভাগ হয়ে অন্য জোট
এটাই হল কী করে?
একবার ভাবুন। জনগণ থেকে নেতা।


