রেললাইনে বসেছিলেন বধির দুই ব্যক্তি, ট্রেন বারবার হর্ণ দিতে দিতে এগিয়ে চললো, তারপর যা হল

রেললাইনে বসেছিলেন বধির দুই ব্যক্তি, ট্রেন বারবার হর্ণ দিতে দিতে এগিয়ে চললো, তারপর যা হল
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রেললাইনে বসেছিলেন বধির দুই ব্যক্তি। ফলে ট্রেনের হর্ণও শুনতে পাননি। আর তার জেরে নতুন বছরের প্রথম দিনেই ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল দুই যুবকের। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইক্ষীর বনচাকী মাদ্রাসা-সংলগ্ন রেলগেট এলাকায় রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তি হলেন বোয়ালমারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কামারগ্রাম মহল্লার মির্জু শেখ (৩২) এবং একই ওয়ার্ডের রায়পুর মহল্লার জাকারিয়া মিয়া (৩১)। তাঁরা দুজন মুক ও বধির বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বছরের শেষদিনে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাংলাদেশেই মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছিল নাটোরের লালপুর আজ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। রাজশাহী-ঈশ্বরদী রেলপথে। মৃতরা হলেন ব্যাংক এশিয়ার নাটোরের গোপালপুর শাখার কর্মকর্তা সাথী বেগম (২৪), আসবাবপত্র ব্যবসায়ী জুমির শেখ (৬৬) ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মুনতাজ আলী (৬৫)। এর মধ্যে সাথী বেগম ও জুমির শেখের বাড়ি লালপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে এবং মুনতাজ আলীর বাড়ি একই উপজেলার কেশবপুর গ্রামে।
আর বছরের প্রথম দিনেও ঘটলো ট্রেনে কাটার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, বাইক্ষীর বনচাকী মাদ্রাসা-সংলগ্ন রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রেললাইনে বসেছিলেন দুই ব্যক্তি। সেই সময় ভাটিয়াপাড়াগামী ‘রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি যাচ্ছিল। ট্রেনটি বারবার হর্ণ দিলেও তাঁরা রেললাইন ছেড়ে ওঠেননি। অবশেষে ট্রেনে কাটা পড়েন দু’জনেই। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।


