পিরিয়ড ক্র্যাম্প রুখতে মন দিন যোগাসনে

পিরিয়ড ক্র্যাম্প রুখতে মন দিন যোগাসনে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রোজ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন নারীর পিরিয়ড হয়। আর এ কয়দিনই তাকে বিভিন্ন ধরনের কষ্টকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে চলতে হয়। যদি একজন নারী প্রায় ৩৯ বছর এই স্বাভাবিক ও নিয়মিত শারীরিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলেন, তাকে তার পুরো জীবনে প্রায় ৪৬৮ বার এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়।
পিরিয়ডের সবচেয়ে ভীতিকর অংশ পিরিয়ড ক্র্যাম্প। কারও ক্ষেত্রে বেশি, আবার কারোর ক্ষেত্রে তা সহনীয় ব্যথার গণ্ডিতে থাকে। আর যোগ ব্যায়ামের একাধিক সুবিধার মধ্যে একটি হলো পিরিয়ড ক্র্যাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই।
ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের আগে এই আসনগুলো অনুশীলন দেবে উপশম আর স্বস্তি। এ জন্য কার্যকরী কিছু যোগাসনের কথা বলেন তিনি-
বাউন্ড অ্যাঙ্গেল পোজ বা প্রজাপতি আসন বা বদ্ধ কোণাসন: এই আসনে পিঠ, নিতম্ব, থাই ও উদরের অংশের পেশির প্রসারণ হয়। এতে সেসব অংশের পেশি মজবুত হয়। তা ছাড়া পেলভিক ও নিতম্বের অংশে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সিটেড ফরওয়ার্ড পোজ বা উপবিষ্ট কোণাসন: আধুনিক যোগব্যায়ামের এই আসনটি উরুর পেশিকে প্রসারিত করে। সায়াটিকা (কোমর ব্যথা পায়ের দিকে চলে গেলে তাকে সায়াটিকা বলে) এবং আর্থ্রাইটিস (অস্থিসন্ধির প্রদাহ, যা এক বা একাধিক অস্থিসন্ধিকে আক্রান্ত করে) অবস্থাও উন্নতি করে। কারণ এটি ট্রাঙ্ক, হ্যামস্ট্রিং, নিতম্ব এবং কুঁচকি প্রসারিত করে। আর শক্ত পেশিগুলোকে প্রসারিত করে আর্থ্রাইটিসের কারণে সৃষ্ট ব্যথা উপশম করে।
মালা আসন বা স্কোয়াট: এই আসন কোমর ও পায়ের পেশিকে শক্তসমর্থ করে। পিঠের পেছনের ব্যথা কমায়।
লেগস আপ ইন দ্য ওয়াল বা ভিপরিতা কারানি: পিঠের নিচের ব্যথা উপশম করতে এবং পায়ের ক্র্যাম্প থেকে শরীরকে স্বস্তি দিতে সাহায্য করে।
রিক্লাইন্ড বাটারফ্লাই পোজ বা সুপ্ত বদ্ধ কোণাসন: পিঠের নিচের অংশ, নিতম্ব এবং উরুকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। হাত ও পায়ের ধমনি, শিরা, স্নায়ু ও পেশিকেও সক্রিয় রাখে। উরুর সংযোগস্থলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং পায়ের গঠন দৃঢ় ও সুগঠিত হয়।


