তৃণমূল আর সর্বভারতীয় নয়! তাহলে মমতা কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন? চিন্তায় কর্মীরা

তৃণমূল আর সর্বভারতীয় নয়! তাহলে মমতা কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন? চিন্তায় কর্মীরা
10 Apr 2023, 11:45 PM

তৃণমূল আর সর্বভারতীয় নয়! তাহলে মমতা কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন? চিন্তায় কর্মীরা

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: দেশ ঘুরতে গিয়েই গেয়ে রাজ্য আটকে গেল তৃণমূল। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩। সময়টা কিন্তু কম নয়। তার মাঝে তিনবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় তৃণমূল। বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য একা লড়াই করেছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের নিয়ে বৈঠক থেকে সমাবেশ –সব করেছেন। এমনকী, তৃণমূল কর্মীরা ভেবেছিলেন যত সময় এগোবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার হিসেবে তিনিই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। হঠাৎ উল্টো ফল প্রকাশ!

১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়া। সেবারই পশ্চিমবঙ্গে ৭টি আসনে জিতেছিল লোকসভায়। জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ১৮ বছর। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে জোড়াফুলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আর তারপরই হঠাৎ সব কেমন যেন এলোমেলো।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি শর্ত। যার অন্তত একটি পূরণ করতে হবেই। প্রথম হল, লোকসভায় অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দ্বিতীয়, লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন (মোট আসনের ২ শতাংশ) জিততে হবে এবং আগের জেতা আসনের অন্তত ৪টি পুনরায় জিততে হবে। তিন, অন্তত ৪টি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মণিপুরে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তাতেই প্রথম শর্ত পূরণ হয়।

কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সে শর্ত তারা পূরণ করতে পারেনি। সে বছর অরুণাচলের বিধানসভা ভোটেও কোনও আসনে জিততে তারা ব্যর্থ হয়। ২০২২ সালে মণিপুর এবং চলতি বছরে ত্রিপুরাতেও আঞ্চলিক দল হওয়ার শর্তপূরণের সুযোগ হারায় তারা। ত্রিপুরায় মোট ভোটের হিসাবে নোটার চেয়েও পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সোমবার নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, ‘নির্বাচনী ফলের ভিত্তিতে প্রতীক বণ্টন সংক্রান্ত নিয়মাবলী’র ভিত্তিতে তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই ধরণের ঘটনা কিন্তু বিপাকে ফেলতে পারে তৃণমূলকে। এমনকী, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন, মোদি বিরোধী শ্লোগান তুলেছিলেন, তাও যে ধাক্কা খাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর মুহুর্তের মধ্যেই এই কথা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেগঞ্জে। যারা এতদিন তুমুল উৎসাহে কাজ কৱছিলেন, চিন্তা পড়েছেন‌ তাঁরাও। মমতা যদি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, তৃণমূল যদি সর্বভারতীয় না হতে পারে, তাহলে তাঁদের দেখবে কে? এই প্রশ্নটাই হয়তো এগিয়ে দিতে পারে বিজেপিকে।

Mailing List