করমন্ডল এক্সপ্রেসে মৃতের পরিবারকে ২ হাজার টাকার নোটে সাহায্য তৃণমূলের! কালো টাকা সাদা করার ফন্দি বলে টুইট সুকান্তর

করমন্ডল এক্সপ্রেসে মৃতের পরিবারকে ২ হাজার টাকার নোটে সাহায্য তৃণমূলের! কালো টাকা সাদা করার ফন্দি বলে টুইট সুকান্তর
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: গত শুক্রবার সন্ধেয় সেই অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া পঞ্চায়েতের ছড়ানেখালি গ্রামের তিন ভাই হারান গায়েন (৫১), নিশিকান্ত গায়েন (৪০) ও দিবাকর গায়েন (৩৩)। ওই তিন ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন গ্রামেরই সঞ্জয় হালদার (২৪) ও বিকাশ হালদার (২৬ ) নামে আরও দুই যুবক। তাঁরা সবাই ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। তাঁরাও সবাই প্রাণ হারিয়েছেন ওই দুর্ঘটনায়। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন মৃত ওই ৫ জনের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সাহায্য দেওয়ার পর টাকার বান্ডিল হাতে ওই পরিবারের ছবি দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা গিয়েছে, যে টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সিংহভাগই ২ হাজার টাকার নোট। কেন ২ হাজার টাকার নোট দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে 2 লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রী। সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এপ্রসঙ্গে এই প্রশ্নটাও রাখছি, একসাথে 2000 টাকার নোটে 2 লক্ষ টাকার বান্ডিলের উৎস কি? pic.twitter.com/TlisMituGG
এক টুইট বার্তায় সুকান্ত এর পিছনে কালো টাকা সাদা করা ফন্দি আছে কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন। এরপরই এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্বজন হারা পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে মঙ্গলবার তাঁদের বাড়ি যান মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক শওকত মোল্লা, বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বিধায়ক পরেশ রাম দাসেরা। এদিকে কদিন আগেই ২ হাজার টকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যাঁদের কাছে এই নোট আছে, তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু, নোট প্রত্যাহার ঘোষণার পরও কেন দেওয়া হল এই নোট? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার পর পর এ নিয়ে দুটি টুইট করেন তিনি। টুইটে তাঁর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রী। সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ প্রসঙ্গে এই প্রশ্নটাও রাখছি, একসঙ্গে ২০০০ টাকার নোটে ২ লক্ষ টাকার বান্ডিলের উৎস কী? একটু পরে আরও একটি টুইট করেন সুকান্ত। তাতে লেখেন, বর্তমানে ২০০০ টাকার নোটের বাজারে জোগান কম। তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিবর্তন করার পদ্ধতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারগুলিকে ২০০০ টাকার নোট দিয়ে তাদের সমস্যা কি বাড়ানো হল না? দ্বিতীয়ত, এটা কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি নয় কি? তাঁর এই টুইটের পর রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। তবে তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


