কনকনে শীত উপেক্ষা করেই বড়দিনের ছুটিতে পুরুলিয়ার পাহাড়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

কনকনে শীত উপেক্ষা করেই বড়দিনের ছুটিতে পুরুলিয়ার পাহাড়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া
কনকনে শীত উপেক্ষা করেই করোনা বিধি মেনেই বড়দিনের ছুটিতে পুরুলিয়ার পাহাড়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল ২৫ ডিসেম্বর শনিবার । এদিন বনভোজনে আসা মানুষের ভিড় উপচে পড়ল পুরুলিয়ার অযোধ্যা, জয়চন্ডী ও গড়পঞ্চকোট পাহাড়ে। অতীতের, বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে এবার পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় হল রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম পর্যটনকেন্দ্র পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে। সকাল থেকেই জেলার এই তিন স্হানেই যেন তিলধারণের জায়গাছিল না। বেলা যত বেড়েছে ততই ভিড়ও বেড়েছে। তবে অযোধ্যা পাহাড়ের ভীড় এদিন অতীতের সমস্ত রেকর্ড কে ছাপিয়ে গেছে ।
২৫ ডিসেম্বর শনিবার এই রেকর্ড সংখ্যক ভিড় দেখে এবারে পর্যটন মরশুমের পরবর্তী দিনগুলির কথা ভেবে আশায় বুক বাঁধছেন অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল মালিকরা। মুখে হাসি ফুটেছে আদিবাসীদের। কারণ তাদের নাচ দেখে পর্যটকরা যে অর্থ দান করে এদিন তা বিগত বছরগুলি থেকে অনেক বেশি।
এদিকে জেলায় তাপমাত্রা নামছে,নেমেই চলেছে ।যার ফলে কনকনে শীত পড়েছে জেলায়। আর কনকনে শীত পড়তেই ভ্রমণ পিপাসুদের মনে উঁকি দিতে থাকে পিকনিকের কথা। আর তাই সেই দিনটিকে কাজে লাগিয়ে এদিন অযোধ্যা পাহাড়ের মুরগুমা জলাধার, পাহাড়ের পাদদেশের খয়রাবেড়া গ্রাম, এই পাহাড়ের সাইটসিয়িং এলাকা, ব্রাক্ষণী ও টুরগা ফলসে পিকনিক পার্টির ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
অযোধ্যা পাহাড়ের পিকনিক স্পটগুলি ছাড়াও শনিবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরের অদূরে অবস্থিত জয়চন্ডী পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় ছিল যথেষ্ট। রূপসী বাংলার পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার, পিকনিক করতে যাওয়ার বা পাহাড়ে ট্রেকিং করার আদর্শ জায়গা পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড়। তাই তাকে কাজে লাগিয়ে ২৫ ডিসেম্বর জয়চন্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসবের ঠিক দুদিন আগে শনিবার বড়দিনের ছুটিতে জয়চন্ডী পাহাড়ে রেকর্ড পরিমাণে পিকনিক দলের ভিড় লক্ষ্য করা গেল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সপরিবারে ভিড় জমিয়েছেন জেলার বাইরে থেকে আসা পিকনিক দলগুলি। এদিন জয়চন্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সান্টার সাজে সজ্জিত কর্মীরা খুদেদের হাতে চকলেটও দেন।যা পেয়ে এদিন খুশীর অন্ত ছিল নাকচিকাঁচাদের ।
স্থানীয় পুরসভার পৌর প্রশাসক তরণী বাউরী জানান, বহু প্রাচীন জয়চন্ডী পাহাড়ে রক ক্লাইম্বিং হয় বারবার।এই পাহাড়ের সৌন্দর্যকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি "জয়চন্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব "পালন করা হয়। এবারও তার অন্যথা হবে না। তরণীবাবুর বক্তব্য, ইতিমধ্যে খুব অল্প সময়ে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের জয়চন্ডী পাহাড় স্হান করে নিয়েছে পর্যটন মানচিত্রে।যার ফলেই ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে এই পাহাড়ে উপচে পড়েছে পর্যটকদের ও পিকনিক দলের ভিড়।
অন্যদিকে রাজ্যের বর্তমান সরকার পর্যটন মানচিত্রে এই পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড়কে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে এই পাহাড়ের পাদদেশে যুব আবাস, কটেজ ইত্যাদি গড়ে তুলেছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।



