গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে বানিয়ে নিন বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ একটি রান্না চালকুমড়োর শুক্তো, রইলো রেসিপি

গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে বানিয়ে নিন বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ একটি রান্না চালকুমড়োর শুক্তো, রইলো রেসিপি
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবরও আসছে। এছাড়াও কোভিড বাড়ছে দেশজুড়ে। রোদ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বেলা ১১-২ টো পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। মুখে সব সময় মাস্ক রাখুন। বাইরে বেরোলেই সঙ্গে ছাতা, জলের বোতল রাখতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে বাইরের খাবার, জল এড়িয়ে চলুন। যতটা সম্ভব হালকা পোশাক পরুন আর হালকা খাবার খান।
এই সময় সবজি দিয়ে হালকা মাছের ঝোল, ডাল, সবজি সিদ্ধ, শুক্তো এসব খান। শুক্তো বাঙালি বাড়ির একটি ঐতিহ্য। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে শুক্তো হবেই। বিয়েবাড়ি, পৈতে বাড়ি, জন্মদিন পাতে ৫রকম ভাজার সঙ্গে শুক্তো থাকবেই। শুক্তো মানেই তাতে বড়ি, কাঁচকলা, রাঙাআলু, উচ্ছে, গাজর, বেগুন আর ঘি থাকবেই। তবে এই শুক্তো গরমের জন্য খুবই ভাল আর বানাতে কোনও ঘি, আলু এসব লাগে না।
সুক্তো পেটের জন্য উপকারী তো বটেই যাদের সুগার রয়েছে তারাও নির্ভয়ে খেতে পারবেন। চালকুমড়ো সবজিটির কদর আজ থেকে ২০ বছর আগে যেমন ছিল এখন তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। লাউ আর চালকুমড়োর ফারাক অনেকেই বোঝেন না। বাঙালির হেঁশেলে সনাতনী যে সব রান্না রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল চালকুমড়ো। চালকুমড়ো দিয়ে পাতুরি, ঘন্ট, অনেক কিছুই কিন্তু বানানো যায়। গরমে এই শুক্তোও খুব ভাল লাগে খেতে।
চালকুমড়ো খুব ভাল করে ধুয়ে ঝিরি ঝিরি করে কেটে নিতে হবে। এবার দুটো উচ্ছে নিয়েও গোল গোল করে কেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে প্রথমে উচ্ছে ভেজে তুলে রাখুন। এবার কড়াইতে এবার তেল দিয়ে গোটা সরষে, আদা বাটা ফোড়ন দিয়ে চালকুমড়ো দিয়ে দিন। সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এবার চাপা দিয়ে লো ফ্লেমে রান্না করতে থাকুন। লাউ কষে জল ছাড়লে এবং কষে এলে ওর মধ্যে চিনি মিশিয়ে নিন। এবার উচ্ছেও দিয়ে দিন উপর থেকে। জল শুকিয়ে আসলে গ্যাস অফ করে দিন। ব্যাস, তৈরি চালকুমড়োর শুক্তো। গরম ভাতে এই শুক্তো মেখে খেতে দারুণ লাগে।


