দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে তিনদিন, আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে

দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে তিনদিন, আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: যে দিকে চোখ যাচ্ছে, সেদিকেই শুধু মৃতদেহের সারি। সর্বত্রই মৃত্যুর হাহাকার। মৃতের সংখ্যা কত? তা জানার কোনও উপায় নেই। কারণ, প্রতিদিনই ছাপিয়ে যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা। হ্যাঁ, লিবিয়ায় আছড়ে পড়া সুপার সাইক্লোন ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবের পর এটাই এখন পরিচিত চিত্র। লিবিয়ার শহর ডারনার অবস্থা সবথেকে শোচনীয়। এখানকার আকাশে-বাতাশে শুধুই পচা লাশের গন্ধ। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, বাঁধ ভেঙে জলের তোড়ে মৃতের সংখ্যা কুড়ি হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই শহরের এক চতুর্থাংশ মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সৌদি আবরবের সংবাদমাধ্যম ‘আল আরবিয়া’ জানাচ্ছে, ডারনার মেয়র বলেছেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, মৃতের সংখ্যা ১৮-২০ হাজারের কম নয়। ‘ড্যানিয়েলের তাণ্ডবে ডারনা শহরের তিনটি বাঁধ ভেঙে যায়। যে সময় বাঁধ ভাঙার ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় গোটা শহর ছিল ঘুমে আচ্ছন্ন। ফলে বিপর্যয়ের কিছুই টের পাননি মানুষজন। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁদের সলিলসমাধি ঘটেছে। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, ডারনায় বসবাস করতেন ১ লক্ষর মতো অধিবাসী। ড্যানিয়েলের আছড়ে পড়ার পর শহরের ছবিটাই বদলে গেছে। গোটা শহরে এখন আর জল নেই। তার বদলে এখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। যত সময় গড়াচ্ছে, পচা লাশের গন্ধে ভরে উঠছে গোটা এলাকা।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি যদি খোলা অবস্থায় পড়ে থাকে, তা হলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে, দ্রুত মৃতদেহগুলির শেষকৃত করাটা জরুরি। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে লিবিয়া সররকার। যোগাযোগ ব্যবস্থাও পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট ইঁট-পাথর আর কাদায় ভর্তি হয়ে রয়েছে। শহরের এক বিপর্যস্ত বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘‘আমার পরিবারে ৫০জন লোক ছিল। এই দুর্যোগে সবাই নিখোঁজ। যাঁরা এই ভয়ঙ্ক দুর্যোগে বেঁচে গেছেন, তাঁরা এখন নিজের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পর কেটে গেছে তিনদিন। কিন্তু এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের কাছে ত্রাণ সেভাবে পৌঁছয়নি। উদ্ধারকার্য চলছেই। মিশর, তুরস্ক এবং কাতার থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।


