এই বুনো ফুল খনিজ উপাদানে ভরপুর

এই বুনো ফুল খনিজ উপাদানে ভরপুর
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ প্রকৃতি আমাদের জন্য প্রচুর উপাদান সাজিয়ে রেখেছে। যে ফলগুলির মধ্যে রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ। এমনই একটি পাহাড়ি ফল হল তিমলা। যা স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টির জন্যও পরিচিত।
আসলে এটি এক ধরনের ডুমুর। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে এটি টিমলা, তিমিল, তিমাল, তিমালু ইত্যাদি নামে পরিচিত। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলটিতে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং বি-এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
সবজি ও আচার তৈরি হয় কাঁচা তিমলা দিয়ে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পাহাড়ে সহজেই পাওয়া যায় এই ফল। তিমলা গাছ রাজ্যের বিশেষ গাছগুলির মধ্যে একটি। এর ফল হালকা লাল ও হলুদ হয়ে গেলে এর স্বাদ খুব ভাল হয়। এর সাহায্যে রায়তা বানানো হয়, আবার সবজিও পাহাড়ে খুব জনপ্রিয়। এই ফল বিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার বাসিন্দা কাঞ্চন সিং কুনওয়ার জানান, ৮০০ থেকে ২২০০ মিটার উচ্চতায় পাওয়া এই গাছের বন পাওয়া যায়। এর পাতা ২০-২৫ সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে। গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবেও এই পাতা খুব ভাল। এতে গবাদি পশুর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে।
পেকে হালকা লাল এবং হলুদ হয়ে গেলে স্বাদ বেড়ে যায়। আবার বেশি পেকে গেলে কালো হয়ে যায়। তখন পাহাড়ি মানুষ রায়তায় ব্যবহার করেন এই ফল।
ধর্মীয় কাজেও এই গাছ ব্যবহৃত হয়। পাহাড়ে এই গাছকে অশ্বত্থ গাছের মতোই পবিত্র বলে মনে করা হয়। এর পাতা দিয়ে তৈরি থালায় পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড নিবেদন করা হয়। ব্রাহ্মণরা পুজোর সময় এই পাতা ব্যবহার করেন।


