মেদিনীপুরের এই ছবিটাই দেখতে চান সকলে, কিন্তু ভোটে কী সত্যিই তা দেখা যায়

মেদিনীপুরের এই ছবিটাই দেখতে চান সকলে, কিন্তু ভোটে কী সত্যিই তা দেখা যায়
16 Jun 2023, 10:30 AM

মেদিনীপুরের এই ছবিটাই দেখতে চান সকলে, কিন্তু ভোটে কী সত্যিই তা দেখা যায়

 

আনফোল্ড বাংলা বিশেষ প্রতিবেদন: এই ছবিটাই দেখতে চান সবাই। প্রতিটি ভোটেই। কিন্তু সেটা কী সব সময় বাস্তবে হয়? পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ক্ষেত্রে হয় না বললেই চলে। সব সময়ই শাসক দলের দাপাদাপি থাকেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যতিক্রম শুধু এই ছবিটা।

এবার ছবিটা খোলসা করা যাক। এই ছবিতে কারা রয়েছেন? মেদিনীপুরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এই ছবিটাই ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। যেখানে এক সঙ্গে বসে পুরনো দিনের গল্প করতে দেখা গিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলার তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়। তেমনই রয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চেয়ারম্যান তথা খড়গপুর বিধায়ক দীনেন রায়। এই দু’জনেই প্রবীণ। আবার রয়েছেন নতুন প্রজন্মের দুই নেতাও। তাঁরা হলেন সিপিএম এর মেদিনীপুর সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক সোমনাথ চন্দ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অরূপ দাস। এই ছবি দেখলে কে বলবে যে, মনোনয়ন ঘিরে মারামারি হয়েছে কত? বোমাবাজি হয়েছে। চলেছে গুলিও। তাতে প্রাণও গিয়েছে।

মনোনয়ন পর্বে এত অশান্তি যে, আদালতকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। ভর্ৎসনা করতে হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। রাজ্যের সমস্ত জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নও উঠেছে। মনোনয়ন পর্বেই যদি এত অশান্তি হয়, তাহলে ভোটে কত না অশান্তি হবে? সেই প্রশ্নও উঠছে। তাই বারেবারে এই ছবিটা যেন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। সবাই চাইছেন, এভাবেই সব রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ সহবস্থান করুক। মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো অবাধে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক। কিন্তু বিগত ৩৪ বছরের বাম জমানা হোক বা পরের ১১ বছরের তৃণমূলের সরকার – সত্যিই কী তার সফল রূপায়ণ ঘটাতে পেরেছে? যদি তাই হত, তাহলে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে এত কথা কী বলতে হত? প্রকাশ্য সমাবেশ থেকেও যে হুমকি দেওয়া হয় এখন। সে আস্ফালন পেশি শক্তির। কোনও রাজনৈতিক দলই তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।

অথচ সকলেই বোঝেন, পেশি শক্তির জোরে সবদিন সব কিছু দখলে রাখা যায় না। ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। এগিয়ে যায় চাকা। তখন পিছনে পড়ে গড়াগড়ি খায় পেশি শক্তির আস্ফালন। তাই ফের বলা, এই ছবিটাই মানুষ দেখতে চান। ভোটে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ গঠন হোক বা সরকার গঠন – প্রাণের মূল্য চুকিয়ে নয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ইচ্ছেতেই বদল আসুক।  

 

Mailing List