সানস্ক্রিন মাখার সময় এই ভুল যা অজান্তে হয়তো আপনিও করে থাকেন

সানস্ক্রিন মাখার সময় এই ভুল যা অজান্তে হয়তো আপনিও করে থাকেন
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন মাখাটা ভীষণ জরুরি। নাহলে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি বিশ্রী ভাবে প্রভাব ফেলে। তবে যদি না আপনি সঠিক এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন না মাখেন। আজ এমন কিছু সাধারণ ভুল নিয়ে আলোচনা করব যা সানস্ক্রিন মাখার সময় অহরহ আমরা করে থাকি।
পর্যাপ্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন না মাখা
হয়তো আপনি বেশিএসপিএফ মাত্রাযুক্ত সানস্ক্রিনই মাখছেন, কিন্তু পরিমাণের চেয়ে কম সানস্ক্রিন মাখাটা একটা প্রাথমিক ভুল। বেশিরভাগ মেয়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণে সানস্ক্রিন মাখেন না, ফলে তাঁরা পর্যাপ্ত সুরক্ষাও পান না। সারা শরীরে মাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সানস্ক্রিন নিন, মুখের জন্য কয়েনের আকারের সমান সানস্ক্রিন নিতে হবে। মুখে সানস্ক্রিন ভালোভাবে শুষে যেতে দিন, তারপর মেকআপ করুন।
বারবার সানস্ক্রিন না লাগানো
প্রথমবার সানস্ক্রিন লাগানো যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি তা বারবার মাখা। আপনার সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা যত বেশিই হোক না কেন, প্রতি দু' ঘণ্টা অন্তর তা মাখতে হবে। এমনকী, জলনিরোধক সানস্ক্রিনও দু'ঘণ্টা পর পর মাখা দরকার। কারণ কাচের জানলা, টুপি বা স্কার্ফের মধ্যে দিয়েও অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করতে পারে, তাই সানস্ক্রিনও বারবার মাখা চাই।
বাড়ি থেকে বেরোনোর ঠিক আগে সানস্ক্রিন মাখা
সানস্ক্রিন মেখেই বাড়ির বাইরে বেরোলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। প্রতিটি সানস্ক্রিন মাখার পর কার্যকরী হয়ে উঠতে অন্তত আধ ঘণ্টা লাগে এবং তারপরেই তা অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। এতে আপনার ত্বকও সানস্ক্রিন ভালোভাবে শোষণ করতে পারে এবং রোদের চড়া প্রভাব থেকে সুরক্ষিত থাকে।
জরুরি জায়গাগুলো বাদ পড়ে যাওয়া
মুখে এবং শরীরে নিয়ম করে সানস্ক্রিন মাখা সত্ত্বেও ঠোঁট, কান, ঘাড়ের মতো বেশ কিছু জরুরি জায়গা আমরা বাদ দিয়ে দিই। এ সব জায়গায় রোদ লেগে সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই অবহেলা করা চলবে না।
এসপিএফকেই গুরুত্ব দেওয়া
সানস্ক্রিন কেনার সময় শুধু এসপিএফের মাত্রার ব্যাপারেই খেয়াল রাখেন? তা হলে এবার 'ব্রড স্পেকট্রাম' শব্দটার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে যান। এসপিএফকে গুরুত্ব দিন এক্ষেত্রে। না হলেই মুশকিল।


