জনসংযোগ ছাড়া উপায় নেই, লড়াইটা কঠিন, কর্মীদের পথ বাতলে সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, মানছে কিনা নজরদারিও চালাবেন নিজে

জনসংযোগ ছাড়া উপায় নেই, লড়াইটা কঠিন, কর্মীদের পথ বাতলে সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, মানছে কিনা নজরদারিও চালাবেন নিজে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বিজেপি বারবার হুংকার দিচ্ছে। উদাহরন টানছে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের। আর তারপর ছত্তীসগঢ়ও যে দখল করবে প্রকাশ্যেই সেকথা বলছেন বিজেপি নেতারা। তারপর? পরের ইঙ্গিত অবশ্যই বাংলার দিকে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী পাল্টা হুংকার দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার দিকে তাকিও না। এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার থাকে।
কিন্তু তারপরেও প্রশ্নটা কিন্তু থেকে যাচ্ছে। তা হল, নেতা-কর্মীদের আচরণ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ। যদি সেটা সঠিকভাবে না করা যায় তাহলে কিন্তু বিপদ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই একুশের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেও আরও একবার নেতা-কর্মী-সাংসদ-বিধায়কদের বার্তা দিলেন। এবং সেগুলি মেনে চলার কথা জানালেন, সেগুলি কিন্তু নেত্রী নিজেই খতিয়েও দেখবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একই কথা আগেও নেত্রী বারবার বলেছেন। অনেকেই শোনেননি। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সব কিছু খতিয়ে দেখছেন। যেমন সরকারি বিভিন্ন দফতরের রিপোর্টের ওপর ভরসা করে না থেকে ঘটনাস্থলে নিজের লোক পাঠাচ্ছেন। সত্যিই কতটা কাজ হচ্ছে ছবি-সহ তার নথি সংগ্রহ করছেন। এবার দলীয় নেতা-কর্মী-সাংসদ-বিধায়কদের ক্ষেত্রেও তাই করবেন। আর সে কারণেই পরপর একাধিক বিষয় মেনে চলার ওপর জোর দিলেন তিনি।
সেগুলি কী?
১। কারও কাছে দলের নামে চাঁদা তোলা যাবে না। কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটালে পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়ার কথা জানালেন। তারই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, একুশের জনসভায় আসার জন্য চাঁদা তোলা বারন ছিল। তা সত্ত্বেও দু’টি অভিযোগও তিনি পেয়েছেন।
২। কর্মীরা সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন। মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনে তা সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
৩। গাড়িতে নয়, বিধায়ক-সাংসদেরা হেঁটে কিংবা রিকশায় এলাকায় ঘুরবেন।
৪। কর্মীরা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারবেন, চা খাবেন। মানুষের সঙ্গে একাত্ম হবেন। চা খাওয়াবেন নিজের পয়সায়। এর যেন অন্যথা না হয়।
৫। সংবাদমাধ্যমে যা ইচ্ছা তাই বলবেন না। নিজের এক্তিয়ার সম্বন্ধে সচেতন হন।
৬। ব্যক্তির থেকেও দল বড়। নিজেকে বড় ভাবা বন্ধ করতে হবে।


