বিশ্বব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টর এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন

বিশ্বব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টর এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন
মহামারীকে সামনে রেখে স্কুল বন্ধ রাখার এখন আর কোনও যুক্তি নেই। নতুন তরঙ্গ থাকলেও স্কুল বন্ধ না করাই শেষ উপায় হওয়া উচিত। এবার দেশে-বিদেশে পিছিয়ে পড়া শিক্ষাব্যবস্হাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এমনই রায় দিলেন বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টর জেম সাভেদ্রা।
তিনি বলেছেন, কোভিড মহামারিজনিত দেশগুলোর ওপর তাঁর টিমের নজর রয়েছে। তাঁদের সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে তাতে ভারতের শিক্ষামহল প্রত্যাশার আলো দেখতেই পারেন। তাঁদের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই যে স্কুল পুনরায় খোলার ফলে করোনভাইরাসজনিত সংখ্যা বেড়েছে অথবা স্কুলগুলি "নিরাপদ জায়গা" নয়। এইসঙ্গে তিনি তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেছেন, জন-নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুদের টিকা না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা কখনোই অর্থপূর্ণ নয় কারণ এর পিছনে "কোন যুক্তগ্রাহ্য বিজ্ঞান" নেই। সাভেদ্রা বলেছেন, "স্কুল খোলা এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। দুটিকে সংযুক্ত করার কোনও প্রমাণ নেই । তাই এখন স্কুলগুলি বন্ধ রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এমনকি কোভিড-১৯- এর নতুন তরঙ্গ থাকলেও, স্কুল বন্ধ করাই শেষ অবলম্বন হওয়াও অনুচিত।" ভারতে এর দরুণ নিরক্ষরতার হার শতকরা ৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি যোগ করেন, "রেস্তোরাঁ, বার, শপিং মল খোলা রাখা এবং স্কুল বন্ধ রাখার গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা নেই। আর কোনো অজুহাতে থাকতে পারে না।" এমন বাস্তবের কথাই তুলে ধরেছেন সাভেদ্রা। বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন অনুকরণ অনুসারে, স্কুল, কলেজ খোলা হলে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কম। বরং বন্ধের খরচ অনেক বেশি। যতো বন্ধ, লকডাউন ইত্যাদি হবে, ততোই অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে বলে রায় দিয়েছেন বিশ্বব্যাঙ্কের এই কর্তা। তিনি বলেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিশেষতঃ যারা বিত্তশালী তাঁরাও কেন মহামারির সঠিক মোকাবিলা করতে পারল না, এটা তাঁকে অবাক করেছে। সবথেকে আগে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দরজায় খিল এঁটে দিল! তাঁর কথায় বহু দেশে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে সংক্রমণ বেড়েছে। ফলে এখন অনেক দেশ নয়া তরঙ্গের মধ্যেই ধীরে ধীরে স্কুল খুলে দিচ্ছে। এখনও ছোটদের টিকাকরণ হয়নি, তাই স্কুল খোলার ক্ষেত্রে ঝুঁকি কতোটা? এ প্রশ্নের জবাবে সাভেদ্রা বলেন, এখনও পর্যন্ত কোন দেশের স্কুল কর্তৃপক্ষ টিকাকরণ না হলে স্কুল খুলবে না, এমন শর্তাবলী দিয়েছে বলে তাঁর জানা নেই।


