আন্তর্জাতিক অঙ্ক অলিম্পিয়াড ও জাতীয় সাইবার অলিম্পিয়াডে সাফল্য রায়গঞ্জের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের

আন্তর্জাতিক অঙ্ক অলিম্পিয়াড ও জাতীয় সাইবার অলিম্পিয়াডে সাফল্য রায়গঞ্জের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের

তন্ময় চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ

আন্তর্জাতিক অঙ্ক অলিম্পিয়াড ও জাতীয় সাইবার অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দুর্দান্ত ফলাফল করল রায়গঞ্জ সারদা বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সাগ্নিক বর্মন। দুটি প্রতিযোগিতাতেই অভাবনীয় সাফল্য পাওয়ায় খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গেছে, সাগ্নিক সুদর্শনপুরে অবস্থিত সারদা বিদ্যামন্দিরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

তৃতীয় শ্রেনীতে পড়াকালীন সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। সাগ্নিক জানায়, শনিবার ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায় দুটো বিষয়ে মেডেল অফ ডিস্টিংশন পেয়েছি। আন্তর্জাতিক অঙ্ক অলিম্পিয়াডে ক্রম হয়েছে ২২। পাশাপাশি জাতীয় সাইবার অলিম্পিয়াডে আন্তর্জাতিক ক্রম হয়েছে ১৬ এবং জোনাল ক্রম হয়েছে ৯।

সাগ্নিকের মা লীলা বর্মণও ছেলের এই সাফল্যে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, অঙ্ক অলিম্পিয়াডের কোচিং নিজেই দিয়েছিলাম। কিন্তু সাইবার অলিম্পিয়াডের কোচিং সাগ্নিকের বাবা অনলাইনে করিয়েছে। ছোট ছোট পায়ে সাগ্নিক এগোচ্ছে, দেখে ভালো লাগছে।

তবে ভবিষ্যতে বাবার মতো দাবা খেলাতেও সাফল্য পেতে চায় সাগ্নিক। সাগ্নিক বলে, আমার বাবাও একজন দাবা খেলোয়াড়। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি দাবা খেলোয়াড় হতে চাই। উল্লেখ্য, দাবা প্রেমী সাগ্নিকের বাবা সুব্রত কুমার বর্মন কোচবিহারে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সেখান থেকেই অনলাইনে ছেলেকে কোচিং করান তিনি। সাগ্নিকের মা বলেন, বাবা কাছে থাকলে হয়তো আরও ভালো ফল করতে পারতো। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ও একবার পরীক্ষা দিয়েছিল। তারপরই তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় ফের পরীক্ষা দেয়। তাতেই সাফল্য মেলে।