National Education policy জাতীয় শিক্ষা নীতি মানছে না রাজ্য, তবু চার বছরের পাঠক্রম চালু কেন? কী ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

National Education policy জাতীয় শিক্ষা নীতি মানছে না রাজ্য, তবু চার বছরের পাঠক্রম চালু কেন? কী ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল স্নাতকোত্তর স্তরে (Degree course) চার বছরের পাঠক্রম। বুধবার টুইট করে এই ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya basu)। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া এ বছর থেকে চালু হচ্ছে না। ফলে এতদিন যেভাবে কলেজ ভিত্তিক ভর্তির ব্যবস্থা চালু ছিল তাই থাকল। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইনেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। এদিন চার বছরের পাঠক্রম চালুর ঘোষণা করলেও তা কোনও ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে করা হচ্ছে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
টুইটারে তিনি বলেন, একটি বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (Education policy) মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে। রাজ্য সরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক শিক্ষানীতি তৈরি করেছে, যেখানে সমস্ত ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা ভাল ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে। চার বছরের পাঠক্রমের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন। ‘রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, যারা এই বছর স্নাতকস্তরে ভর্তি হতে চলেছেন, তাদের সুবিধের কথা ভেবে স্নাতকস্তরে আমরা ৪ বছরের পঠনপাঠন চালু করতে চলেছি। এতে তাদের সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সুবিধে হবে এবং একই সঙ্গে রাজ্যের বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে।’
#clarification pic.twitter.com/V41rUguUkt
ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছরের পাস ও অনার্স করতে হবে পড়ুয়াদের। এই মর্মে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনে চলতি বছেরই স্নাতকে চার বছরের পাঠক্রম চালু হবে কি না, সেজন্য ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল৷ সেই কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাকালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে নয়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে এবছরও কলেজগুলিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে না। গত বছরের মতোই ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে কলেজভিত্তিক। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে (Institution) অনলাইনেই (online) এই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতরের তরফে। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের কাজ জরুরি ভিত্তিতে চালানো হচ্ছে। যাতে এই ব্যবস্থা এই বছরই চালু করা যায়। এমনই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।


