এখনই খুলছে না স্কুল, হাইকোর্টে সময় চাইল রাজ্য

এখনই খুলছে না স্কুল, হাইকোর্টে সময় চাইল রাজ্য
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। আর এই সময়েই স্কুলগুলি খুলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু করার দাবি জোরালো হচ্ছে। জেলায় জেলায় স্কুল খোলার দাবিতে মিছিলও করছে একাধিক সংগঠন। স্কুল খোলার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সবারই প্রশ্ন, কবে খুলবে স্কুল?
এদিকে স্কুল খুলতে আগ্রহ রয়েছে রাজ্য সরকারেরও। তবে স্কুল খোলা নিয়ে সাবধানী তারা। তাই স্কুল খোলার আগে কিছুটা সময় চাইল রাজ্য সরকার।
স্কুল খোলার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। শুক্রবার চারটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার পক্ষে সওয়াল করেন।আদালতে তিনি বলেন, এই অবস্থায় স্কুল খোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। এভাবে কোভিডের অজুহাত দিয়ে স্কুল বন্ধ করে রাখা চলতে পারে না। দূরত্ববিধি বজায় রেখে স্কুল খোলা হোক। চিকিৎসকেরাও স্কুল খোলারই পক্ষে বলে আদালতে জানান তিনি।
পালটা রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, রাজ্য সরকারও স্কুল কলেজ খুলতে আগ্রহী। কিন্তু, যদি এখনই স্কুল খুলে দেওয়ার পরে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তার দায়িত্ব রাজ্যের। ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের ৭৪ শতাংশ কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানটা ৮৫ শতাংশ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য স্কুল খুলতে চায়, জানান তিনি। তবে ৮৫ শতাংশ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রীছাত্রীদের টিকাকরণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেও তা টিকার প্রথম ডোজ না ৮৫ শতাংশের দুটি ডোজের পর স্কুল খোলার বিষয়ে চিন্তভাববনা করবে রাজ্য, এদিন তা স্পষ্ট করেননি এজি। তিনি আরও বলেন, "এই বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে রাজ্য। তাই বিষয়টির অগ্রগতি জানাতে আরও কিছুটা সময় চায় তারা।"
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই সময় রাজ্যে স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে জানানো হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
কিন্তু কেন স্কুল খোলা যাচ্ছে না, তার ব্যাখ্যাও তুলে ধরেন। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নির্দেশ দেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। এরমধ্যে স্কুলছুট নিয়েও তথ্য দেবে রাজ্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, "স্কুল খোলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, সরকার স্কুল খোলার পক্ষে। কিন্তু, কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ না বাড়ে সেই বিষয়টি প্রাথমিকতা পাবে। । উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হবে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি। প্রাথমিক স্কুলের আশপাশে খোলা জায়গায় এই শিক্ষালয় চালু করা হবে।



