প্রধানমন্ত্রীও টিকিট কেটেই মেট্রোতে চড়লেন! উদ্বোধনের দিনেই মেট্রোর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রীও টিকিট কেটেই মেট্রোতে চড়লেন! উদ্বোধনের দিনেই মেট্রোর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বুধবারই প্রথম ইতিহাস তৈরি হল বাংলাদেশে। কারণ, বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল এদিন। শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর যাত্রী হিসেবে প্রথম যাত্রার সাক্ষীও থাকলেন তিনি।
এটা তো স্বাভাবিক। ইতিহাস তৈরির দিনে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষী থাকবেন। কিন্তু যেটা আশ্চর্যের তা হল, উদ্বোধনের পর যাত্রী হিসেবে কিন্তু বিনা টিকিটে তিনি গেলেন না। তার জন্য টিকিটও কাটলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন যাত্রী হিসেবে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও কিন্তু টিকিট কেটেই যাত্রা করেন!
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম। অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়।’
বুধবার মেট্রোর শুভ সূচনা হলেও এদিন সাধারণ যাত্রীরা চড়তে পারেননি। সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে। তবে উদ্বোধনের পর মেট্রোরেল চলাচল করবে সীমিত। আগামী ২৬ মার্চ থেকে উত্তরা-আগারগাঁও পথে পুরোদমে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। উত্তরা–আগারগাঁও পথের জন্য ৬ কোচবিশিষ্ট ১০টি ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রথম তিন মাস মেট্রোরেল মাঝের কোনো স্টেশনে থামবে না। ১০ মিনিট পরপর ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। দিনে চলবে ৪ ঘণ্টা। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। প্রতিটি ট্রেন সর্বোচ্চ ২০০ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। সপ্তাহে এক দিন মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ডিএমটিসিএল বলছে, একেকটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। বসার ব্যবস্থা রয়েছে ৩০৬ জনের।


