অধরা রফাসূত্র, শুভেন্দুর সঙ্গে ফের বৈঠকের সম্ভাবনা নাকি এবার অন্য পথে শুভেন্দু

অধরা রফাসূত্র, শুভেন্দুর সঙ্গে ফের বৈঠকের সম্ভাবনা নাকি এবার অন্য পথে শুভেন্দু
25 Nov 2020, 01:49 PM

অধরা রফাসূত্র, শুভেন্দুর সঙ্গে ফের বৈঠকের সম্ভাবনা নাকি এবার অন্য পথে শুভেন্দু

বরফ গললো না। তৃণমূল নেতৃত্ব ও শুভেন্দু অধিকারীর দু’বার বৈঠক হল। দ্বিতীয় বৈঠক টানা দেড় ঘণ্টার। সে বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে এলো না। ‘হাইভোল্টেজ’ বৈঠক কার্যত নিষ্ফলাই বলা যায়। অন্তত তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কথায় এমন আভাসই পাওয়া গেল। তিনি সরাসরি কোনও কথা না জানালেও দলের সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রীর যে দূরত্ব থেকেই গেছে সেটা পরিষ্কার। কারণ, তাঁর কথা অনুযায়ী ফের বৈঠক হতে পারে। কিন্তু আলোচনার সারমর্মতে শুভেন্দু অধিকারী একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই কাজ করতে তৈরি, এতেই তিনি অনড় ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া আর কাউকেই তিনি মান‍্যতা দেবেন না, এটাই প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলেই সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব প্রকট হয়েছে। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। কিন্ত ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানাননি। তৃণমূলের তরফেও ধোঁয়াশা বজায় রাখা হয়েছে। ইতিমধ‍্যেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিল গিরিরা শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন। অন্যদিকে নরম বার্তা দিতে থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। সেই পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার কাছে একটি জায়গায় বৈঠকে বসেন সৌগত রায় এবং শুভেন্দু। দল পরিচালনা নিয়ে সোমবারের বৈঠকে নাকি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁকে জেলা পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। যদিও তাঁকে জানানো হয়, এখন তৃণমূলে সেরকম কোনও পদ নেই। কিন্তু হঠাৎ করে কবে এই পদ লোপ পেল এ নিয়েও নাকি প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে। এর আগের বৈঠকের রিপোর্ট সৌগত রায় মুখ‍্যমন্ত্রীকে দেন, এবারের রিপোর্টও দেবেন বলে তিনি জানান। কিন্তু তারপর কী হবে? ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীও অন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন বাঁকুড়া সফরে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গিয়ে। যা থেকে প্রমাণ হয়, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে যা বলেছেন, তাকেই মান্য দেওয়া। অর্থাৎ কল্যানের শুভেন্দু আক্রমণের বিষয়ে শিলমোহর দেওয়া। ফলে রফাসূত্র কী আদৌ মিলবে। নাকি অন্যপথেই হাঁটবেন শুভেন্দু। সেই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

এবার এটাও দেখা যাচ্ছে যে, শুভেন্দুকে কিন্তু এখনও দল বা মন্ত্রীত্ব থেকে বাদও দেওয়া হয়নি। তাহলে কী উভয়পক্ষই একে অপরকে চাপে রেখে রফাসূত্র খুঁজছেন। সেক্ষেত্রে কী রফা সম্ভব? ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ানো কঠিন। কারণ, তিনি একদিকে দলের প্রধা‌ন ও অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী। ফলে শুভেন্দুকেই নমনীয় হতে হবে। কিন্তু যে শুভেন্দু সরাসরি দল ব্যতিরেকে অনুগামীদের নিয়ে অন্য পথে হাঁটতে শুরু করেছেন, তাকে তো বিদ্রোহ বলে ভুল হয় না। তিনিই কী আদৌ নরম হবেন। সব বিষয় নিয়েই কিন্তু ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।

Mailing List