সুইসাইড স্কোয়াড তৈরির পরিকল্পনা ছিল হাওড়া থেকে ধৃত জঙ্গিদের! তদন্তে নেমে অবাক পুলিশও

সুইসাইড স্কোয়াড তৈরির পরিকল্পনা ছিল হাওড়া থেকে ধৃত জঙ্গিদের! তদন্তে নেমে অবাক পুলিশও
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: আগামী ২৬ জানুয়ারি বড় ধরনের নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। সেই সঙ্গে তারা সুইসাইড স্কোয়াড বানানোরও পরিকল্পনা করছিল। সেই স্কোয়াডের সদস্যদের কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তা নিয়েও খোঁজ খবর করছিল তারা। শনিবার আইএস জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ।
শনিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে একটি বাইককে তাড়া করে নাটকীয় ভাবে ধরা হয় দুই যুবককে। তল্লাশি চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া নথি থেকে এসটিএফের দাবি ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে আইএস-এর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সোশ্যাল সাইটে তারা বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় কথা বলতো। তাদের ল্যাপটপ ঘেঁটে দেখা গিয়েছে কলকাতা শহরের একাধিক জনবহুল এলাকা আলাদা করে চিহ্নিত করা ছিল। কাদের মাধ্যমে বা কোন সূত্রে তারা আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এসটিএফ সূত্রে খবর, যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মূল পান্ডা হল সাদ্দাম। এই সাদ্দামই ধৃত দ্বিতীয় যুবক সৈয়দ আহমেদকে তাদের সংগঠনে নিয়ে এসেছিল। জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছে, সে এম টেক ড্রপ আউট। সাদ্দাম ও তার সঙ্গীকে জেরা করে পুলিশ জানতে চাইছে, অস্ত্র ও বিস্ফোরক জোগাড় করে হামলার ছক ছিল কি না। এ দেশে জঙ্গি সংগঠনের জাল বিস্তার ও অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছিল ধৃত ২ যুবক। প্রাথমিক ভাবে এমনই সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। গত কয়েক বছরে ধৃত সাদ্দাম একাধিকবার উত্তর ভারতে গিয়েছিল। সে তথ্যও মিলেছে। সেখানে গিয়ে সে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তাও নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ২০১৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে দিয়ে জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ে সাদ্দাম। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই জঙ্গি সংগঠনের প্রচার করতে শুরু করে। পরে সে একটি বেসরকারি সংস্থায় কিছুদিন কাজও করেছিল। সেখানে কাজের ফাঁকেও চলছিল আইএস-এর প্রচার। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের মোবাইল ও ল্যাপটপ ঘেটে দেখা গিয়েছে, ২০টিরও বেশি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। এমনকী সিরিয়া ও সৌদি আরবের বিভিন্ন নাগরিকের সঙ্গেও টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতো সে।


