‘ছবিটা বিষ হয়ে উঠেছে’! এত বছর কেন চ্যানেলে ‘সূর্যবংশম’?

‘ছবিটা বিষ হয়ে উঠেছে’! এত বছর কেন চ্যানেলে ‘সূর্যবংশম’?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: টিভি চ্যানেলের সঙ্গে স্যাটেলাইট স্বত্ত্ব অনুযায়ী ছবি সম্প্রচার করা হয়ে থাকে। আর সে জন্যেই সেখানে এক ছবি বার বার দেখানো হয়। কিন্তু তাই বলে রোজ! হ্যাঁ সেটম্যাক্স খুললে এই এক প্রশ্ন সকলের মনে জাগতেই পারে। এক একটা স্লটে দেখানো হচ্ছে ‘সূর্যবংশম’। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত এই ছবি দেখতে দেখতে এবার ক্লান্ত দর্শকেরা। খোলা চিঠিতে চ্যানেলের দরজায় পৌঁছে গেল অভিযোগ। ‘ছোটবেলা থেকে এত দুঃখের ভার বয়েছি যে এখন আর ভার বহন করার সাহস নেই।’ আর এটি জনপ্রিয় সংলাপ। দর্শকদের প্রিয় সিনেমা ‘সূর্যবংশম’, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। সূর্যবংশম-এ অমিতাভ বচ্চনের প্রবীণ চরিত্র বিষাক্ত ক্ষীর খেয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমানে পুরো ছবিটিই দর্শকদের জন্য বিষ হয়ে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবির খবর। এবার এক ব্যক্তি চ্যানেলে চিঠি পাঠিয়ে অনেক প্রশ্নও করেছেন। ‘সূর্যবংশম’ ছবি মুক্তি পেয়েছে ১৯৯৯ সালে। তেলুগু পরিচালক ইভিভি সত্যনারায়ণ পরিচালনা করেছিলেন এই ছবির। এই ছবিই ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ হিন্দি পরিচালকের ছবি। যা কয়েক বছর ধরে সেট ম্যাক্সে সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। দুঃখের বিষয় হল এই সংক্রমোণের সত্যি কোনও ভ্যাকসিন নেই। তাই ভক্তের চিঠি-ই হয়ে উঠল সেটাই দাওয়াই।
একজন ব্যক্তি নিজেই চ্যানেলে চিঠি লিখেছেন এবং যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন করেছেন– ‘আপনার চ্যানেল এই মুভিটি এ পর্যন্ত কতবার প্রচার করেছে? ভবিষ্যতে এই ছবিটি আর কতবার প্রচার হবে? দর্শকদের মানসিক অবস্থার উপর যদি এর বিরূপ প্রভাব (পাগলামি) হয় তাহলে এর জন্য দায়ী কে হবে?’
চ্যানেল কবে তাদের জবাব দেবে কি না জানা নেই। হয়তো দেবেও না। তবে অধিকার বলেন, প্রথম প্রশ্নের উত্তর- এই মুভিটি চ্যানেলে কতবার দেখানো হয়েছে,– ‘সম্ভবত চ্যানেলের কাছে এর ডেটাও থাকবে না, কারণ এই মুভিটি এতবার দেখানো হয়েছে, যা গণনা করা সত্যি সম্ভব নয়। ২০ জুলাই ১৯৯৯-এ চ্যানেল SET MAX প্রকাশিত হয়েছিল। এখন মুক্তির পরপর টিভিতে কোনও সিনেমাই দেখা যায় না। যদি এক বছর পরেও দেখানো হয়, তাহলে যোগ করলে ২২ বছর ধরা যেতেই পারে সূর্যবংশম প্রচারের’।


