সাত বছরের খুদে মেয়ের কান্ড দেখে হতবাক কালিয়াগঞ্জের মানুষ, এখনই ঝুলিতে পুরষ্কারের ছড়াছড়ি

সাত বছরের খুদে মেয়ের কান্ড দেখে হতবাক কালিয়াগঞ্জের মানুষ, এখনই ঝুলিতে পুরষ্কারের ছড়াছড়ি
তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ
মাত্র ৭ বছর বয়স। কথায় এখনো আধো আধো ভাব।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার অমৃতা মোদক এখন তার অসাধারণ প্রতিভার নিরিখে ঝড় তুলে একের পর এক বিরল রেকর্ডের অধিকারী হচ্ছে। কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা সাত বছরে এই শিশু কন্যার নাম অমৃতা মোদক। ইন্ডিয়ানা গ্লোবাল পাবলিক স্কুলে ক্লাস টু এর ছাত্রী সে।
তার আবৃতি নাচ গান এবং ক্যারাটে প্রতিযোগিতাতে জেলা, রাজ্য, জাতীয় প্রতিযোগিতাতে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করে এক বছরের মধ্যে 207 টি পুরস্কার ছিনিয়ে আনার সুবাদে এক অনবদ্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যার ফলস্বরূপ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড, এশিয়া বুক অফ রেকর্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ড, কালাম বুক অফ রেকর্ড, ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল বুক অফ রেকর্ড সহ বিভিন্ন বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী হলো সে। অমৃতার এই সাফল্যে খুশি একদিকে যেমন তার বাবা-মা অপরদিকে খুশি সমগ্র জেলাবাসী। জানা যায়, সাত বছরের অমৃতা মোদক ছোট থেকেই নাচ, গান, অঙ্কন, আবৃত্তি এবং ক্যারাটের প্রতি ভালোবাসার টানে আসক্ত হয়ে যায়। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত ভাবে বাড়িতেই চর্চা করে এইসব বিষয়গুলি নিয়ে অমৃতা। আর তাই মাঝে মাঝেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আর সেই সুবাদে গত এক বছরে সে 207 টি বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরস্কার অধিকারী হয় সে। বিরল এই প্রতিভার অধিকারী অমৃতা মোদক জানায় তার খুব ভালো লাগে, নাচ গান আবৃত্তি, অংকন এবং ক্যারাটে করতে। অমৃতা বলে, আগামী দিনে তার ইচ্ছে আরও বড় জায়গায় গিয়ে আরো পুরস্কার ছিনিয়ে আনা। তবে সে বলে আগামী দিনে সে ডাক্তার হতে চায়।
অন্যদিকে অমৃতার বাবা অনুপ কুমার মোদক জানান, তাঁর মেয়ের এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তিনি খুবই গর্বিত বাবা হিসেবে। তাঁর মেয়ে স্থানীয় স্তর থেকে আরম্ভ করে জাতীয় পর্যায়ে পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তার ফলস্বরূপ গত এক বছরে তার বাড়িতে অমৃতার ঝুলিতে এসেছে 207 টি পুরস্কার। এত কম সময়ের মধ্যে এত পুরস্কার পাওয়ার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড, এশিয়া বুক অফ রেকর্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ড, কালাম বুক অফ রেকর্ড, ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল বুক অফ রেকর্ড সহ বিভিন্ন বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী হয়েছে সে। অনুপ বাবু বলেন, আগামী দিনে মেয়ের যে কাজটির প্রতি আগ্রহ দেখবো সেদিকেই উৎসাহ দেব। মেয়ে এইভাবে দেশে বিদেশে জনপ্রিয় হবে তা কখনোই ভাবতে পারিন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভেচ্ছাও আসছে। আর যাকে নিয়ে এত কান্ড সেই অমৃতার অবশ্য এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। গান গাওয়া আবৃতি অংকন নাচ এবং ক্যারাটে করাটা পুরোটাই নির্ভর করে তার মেজাজ এর উপর। অমৃতার মা মৌটুসী কুন্ডু বলেন, সন্তানের এই কৃতিত্বে ভীষণ ভালো লাগছে। আগামী দিনে যাতে সন্তান আরো এগিয়ে যায় তার জন্য আপ্রাণ সহযোগিতা করব।


