বিশ্বে ক্ষুধার্তের সংখ্যা বাড়ছে! মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের আওতায়! উদ্বেগে রাষ্ট্রসংঘ

বিশ্বে ক্ষুধার্তের সংখ্যা বাড়ছে! মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের আওতায়! উদ্বেগে রাষ্ট্রসংঘ
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের অপুষ্টি ও ক্ষুধার্থের হার বৃদ্ধি চিন্তায় ফেলেছে রাষ্ট্রসংঘকে। বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের সমীক্ষায় দেখা গেছে এই দেশগুলির জনসংখ্যার মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের আওতার মধ্যে পড়ে। পাঁচ বছরের কম বয়সি সাড়ে ৪ কোটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এখনও পৃথিবীর গড়ে ১০ জন মানুষের মধ্যে ১ জন মানুষের প্রতিদিন খাবার জোটেনা। এই গোটা বিশ্বে ৭০ কোটি মানুষ এখনও জানেন না দিনের শেষে তাঁদের মুখে খাবার উঠবে কিনা। খাদ্য সংকট নিয়ে পৃথক একটি সমীক্ষা করেছিল রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সংস্থা সমীক্ষা সংস্থা। তারা জানিয়েছে, খাদ্য সংকট ক্রমশ বাড়ছে বিশ্বে। কিন্তু সংস্থার কোষাগারের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় তারা কিছুই করতে পারছে না। বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী প্রধান সিন্ডি ম্যাকেন নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাটছাঁট করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও করা হবে। খাদ্যের সংকটের পিছনে কারণ হিসাবে ম্যাকেন জানিয়েছেন, সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশের সংকট ও সারের দাম বৃদ্ধিই খাদ্যের অভাব বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের সমীক্ষা জানিয়েছে, ৭৯টি দেশে ৭৮ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে প্রতি ১০ জনের একজনকে রোজ ক্ষুধার্ত হয়ে দিন কাটাতে হয়। ৭৯টি দেশের মধ্যে সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই। খাদ্য সংকটের পিছনে অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রসংঘের নেতারা। এদিকে ক্ষুধার সংকট মেটাতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারী বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প। মাস্টারকার্ড, গোল্ডম্যান স্যাক্সের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


