মানিক ও সুজয়কৃষ্ণের যোগসাজসেই চূড়ান্ত হতো চাকরিপ্রার্থীদের নাম, আদালতে দাবি ইডির

মানিক ও সুজয়কৃষ্ণের যোগসাজসেই চূড়ান্ত হতো চাকরিপ্রার্থীদের নাম, আদালতে দাবি ইডির
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (manik bhattacharjee) সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (sujay krishna bhadra) আঁতাতের অভিযোগ। বুধবার এমনই অভিযোগ আনল ইডি। মানিকের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখিয়ে এদিন আদালতে ইডি দাবি করেছে কাদের বা কোন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হবে তা মানিককে বলে দিতেন ‘কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে আগাগোড়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ৭০ লক্ষ টাকা সুজয়কৃষ্ণকে দিয়েছিল আর এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এদিন এমনও দাবি করেছে ইডি (ED)।
তবে সুজয়কৃষ্ণ এদিন পালটা দাবি করেছেন, ২০২১-র আগে মানিকের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এবার সামনে এল মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের আঁতাঁতের অভিযোগ। এমনই দাবি ইডির। একই সঙ্গে কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বিস্ফোরক সব তথ্য আদালতে পেশ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। কুন্তল ঘোষ সুজয়কৃষ্ণকে ৭০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। ১০ লাখ টাকা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। বিষ্ণুপুরের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বয়ান অনুসারে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি নষ্ট করতে তৎপরও হয়েছিলেন তিনি।
এই মামলার তদন্তে গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati) প্রথম কালীঘাটের কাকুর কথা সামনে এনেছিলেন। কালীঘাটের কাকু আসলে কে সেই নাম প্রথম প্রকাশ্যে আনেন আর এক ধৃত তাপস মণ্ডল। কুন্তল নাকি তাঁর সামনে একাধিকবার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠাতে হবে বলে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই কালীঘাটের কাকুকেই গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের প্রাক্তন কর্মী। সূত্রের খবর, শাসক দলের তাবড় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন কালীঘাটের কাকু। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও এসেছে ইডির হাতে। সেই সঙ্গেই কুন্তলের সঙ্গেও যে সুজয়কৃষ্ণের যোগাযোগ ছিল তারও প্রমাণ মিলেছে। এদিকে নামে, বেনামে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের। এমনই দাবি করেছে ইডি। এমনকী আর এক অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। এখন প্রশ্ন ‘কাকু’-র এই বিপুল পরিমান টাকার উৎস কী? আপাতত সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।


