ঘাসের অপরিসীম ক্ষমতা ঘুর্ণিঝড়ের ফলে তৈরি প্রবল জলোচ্ছ্বাস রুখে বাঁচাতে পারে বাঁধ, প্রয়োজন শুধু পরিকল্পনার

ঘাসের অপরিসীম ক্ষমতা ঘুর্ণিঝড়ের ফলে তৈরি প্রবল জলোচ্ছ্বাস রুখে বাঁচাতে পারে বাঁধ, প্রয়োজন শুধু পরিকল্পনার
18 Jun 2021, 12:04 PM

ঘাসের অপরিসীম ক্ষমতা ঘুর্ণিঝড়ের ফলে তৈরি প্রবল জলোচ্ছ্বাস রুখে বাঁচাতে পারে বাঁধ, প্রয়োজন শুধু পরিকল্পনার

 

বর্ষা, ভরা কোটাল তো প্রকৃতির নিয়মে আসে। এখন আবার যেন নিয়ম করে আসছে ঘুর্ণিঝড়। এই তো কয়েক বছরে আয়লা, ফেনী, আমফান থেকে ইয়াস – কতগুলি ঘুর্ণিঝড় হয়ে গেল। তার জেলে ভাঙল বাঁধ। ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হল লক্ষ লক্ষ মানুষকে। কিন্তু কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে বাঁধের ভাঙন রোখা সম্ভব। তা নিয়ে আলোচনা করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অমলকুমার মন্ডল, অধ্যাপিকা ও বিভাগীয় প্রধান প্রানীবিদ্যা বিভাগ, লেডি ব্রেবোর্ণ মহাবিদ্যালয়ের  প্রানীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সংযুক্তা মন্ডল  পাড়ুই ও গবেষক ছাত্র সায়ন্তুন ত্রিপাঠী।

ডঃ অমলকুমার মন্ডল  

সংযুক্তা মন্ডল পাড়ুই

সায়ন্তুন ত্রিপাঠী

 

প্রকৃতির নিয়মে বর্ষা আসে। বৃষ্টি হয়। আর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে বন্যাও অবধারিত। একথা কারও অজানা নয়।

 

প্রকৃতির নিয়মে জোয়ার-ভাটার খেলাও চলে। এটাও কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু কিন্তু নতুন ঘটনা হল দু’টি। তার মধ্যে প্রথমটি হল অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখন যে আবার প্রায় নিয়ম করে ঘুর্ণিঝড় জন্ম নিচ্ছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। তা কখনও আছড়ে পড়ছে রাজ্যের উপূকলে। বা কখনও আছড়ে পড়ছে পাশের রাজ্যে। আবার কখনও তা বাংলাদেশের দিকে চলে যাচ্ছে।

 

সে যাই হোক না কেন, তার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসের প্লাবিত হয় উপকূলর্তী পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

এই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল, জলোচ্ছ্বাসের ফলে বাঁধ ভেঙে যাওয়া। বাঁধ ভাঙলে শুধু গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়ে বাড়ি ভাঙা, শস্যহানি ঘটানো, পুকুর ভাসিয়ে মাছের ক্ষতি করে তা-ই নয়, নোনা জল ঢুকে পড়ে পরবর্তী মরসুমের চাষেরও ক্ষতি করে। আর একটি বড় ক্ষতি হল, আবার নতুন করে বাঁধ সংস্কার করতে হয়। তাতে শ’ শ’ কোটি টাকা খরচ হয়।

তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকায় ম্যানগ্রোভ  অরণ্যও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বাঁধ ভাঙা রোধ করা যায়নি। অথচ, এই ফি বছর বাঁধ ভাঙা রোধকরতে পারে ঘাস। এটি পরীক্ষিত। তাই এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাঁধে ঘাস লাগানোর উপর জোর দিয়েছেন। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘাস কিভাবে বাঁধকে মজবুত করতে পারে।  

এর জন্য প্রথম প্রয়োজন - নির্দিষ্ট উদ্ভিদ বেছে নেওয়া। যারা আঁকড়ে ধরবে বাঁধের মাটি, রোধ করবে ভূমিক্ষয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত নদী বাঁধে কিছু বিশেষ ধরণের ঘাস বেশি পরিমাণে রয়েছে তার ক্ষয় অনেক কম। কেলেঘাই, কংসাবতী, শিলাবতী নদী বাঁধের যে যে অংশে Vetiveria zizynoides, Eragrostis cynosuroides, Saccharum spontaneum ও Saccharum munja ঘাস গুলো রয়েছে সেখানে ভূমিক্ষয় অপেক্ষাকৃত অনেক কম। সমীক্ষায় এও দেখা গিয়েছে, এই ঘাসগুলি রোপণ করলে নদী বাঁধে খুব দ্রুত মানিয়ে নেয় ও বেড়ে ওঠে। এদের শিকড় মাটিকে এত দৃঢ় ভাবে আটকে রাখে যে, ভূমিক্ষয় লক্ষ্যনীয় ভাবে হ্রাস পায়। ফলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনাও অনেক কমে।

নদীমাতৃক দেশ এই ভারতবর্ষ। কোনও কোনও নদীর উৎস পর্বত শীর্ষের বরফগলা জল, আবার কোনও কোনও নদীর উৎপত্তি মালভূমি থেকে। কেউ কেউ আবার বড় নদীর শাখা। নদীগুলির অববাহিকা অঞ্চল পলি সমৃদ্ধ এবং উর্বর। স্বাভাবিক ভাবেই নদী কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জনপদ।

সেই জনপদের ক্রমবর্ধমান বিপুল চাহিদা মেটাতে গিয়ে নদী হয়েছে শীর্ণ। ধীরে ধীরে লুণ্ঠিত হয়েছে নদী বাঁধের সবুজ অরণ্য। তার বদলে গড়ে উঠেছে কংক্রিটের জঙ্গল। ফলে বর্ষার অতিরিক্ত জল, যেমন ভৌম জলে পরিণত হতে পারছে না তেমনই শীর্ণকায়া নদী বইতে পারছে না অতিরিক্ত জলভার। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সভ্যতার উচ্ছিষ্ট পলিথিন, প্লাস্টিকের জঞ্জাল নদীর গতিপথকেও রুদ্ধ করে। ফলস্বরুপ নদীর দু’কূল ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ছে জনপদে। নদী বাঁধের মাটি আলগা হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। প্রবল বন্যার প্রলয় নাচন জনজীবনকে করছে বিপর্যস্ত। এই সমীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ বন্যার কারণ অনুসন্ধান নয়। বন্যা প্রতিরোধে উদ্ভিদের সাহায্য গ্রহণ, বিশেষ প্রজাতির উদ্ভিদ সনাক্তকরণ, নদী বাঁধে ওই উদ্ভিদ রোপণ ও সংরক্ষণ। মূলতঃ দক্ষিণবঙ্গের বিশেষ করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নদী গুলির আর্থ ভৌগোলিক গঠন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, নদীবাঁধ গুলির উদ্ভিদ বৈচিত্র্য এবং বন্যা রোধে বিশেষ বিশেষ উদ্ভিদের কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ, বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণে বন্যা প্রতিরোধকারী উদ্ভিদ সমৃদ্ধ বনাঞ্চল তৈরি হল এই প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য।

বিশেষ পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় মানুষজনের সহায়তা এবং তাদের বংশানুক্রমিক অভিজ্ঞতার সাহায্য গ্রহণ এবং বিশেষ ধরনের উদ্ভিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিভাত হয় যে নদীর থিতিয়ে পড়া পলি মাটিতে স্বচ্ছন্দে জন্মাতে পারে, নদীর জলে বহুদিন ডুবে ও বেঁচে থাকতে পারে, বিশেষ করে পলিমাটি কে দীর্ঘ গুচ্ছ মূলের সাহায্যে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখতে পারে এক ধরনের ঘাস যার স্থানীয় ভাষায় নাম 'গাঙ ধানি'।

এছাড়াও এই ধরনের 'Vetever' গোষ্ঠীর চার প্রকার ঘাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেগুলি হলো-

 

১. Saccharum spontaneum (কাশ, কাঁশি, কাঁস): Poaceae গোষ্ঠীর এই ঘাস জলা জমিতে জন্মায়। এমনকি পাথুরে জমিতেও স্বচ্ছন্দে জন্মাতে পারে। মূল অত্যন্ত দৃঢ় ও শক্ত, যা মাটির ২-৩ ফুট পর্যন্ত গভীরে ছড়িয়ে যায় এবং ভূমিক্ষয় রোধ করে।

 

২. Saccharum munja (সারকান্দ, জুন): এই ঘাস খরাপ্রবন এলাকাতেও দ্রুত বেড়ে ওঠে। এই ঘাস যেমন খরা এবং আগুন সহ্য করতে পারে তেমনি বন্যার জলেও মাসের পর মাস বেঁচে থাকতে পারে, শুষ্ক মাটিতে যেমন জন্মাতে পারে তেমনি ঘন কাদাতেও বংশবৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা হয় না।

 

৩. Eragrostis cynosuroides (কুশ): এই ঘাস পৌরাণিক কাল থেকে নদীমাতৃক ভারতবর্ষের জনজীবন ও ধর্মীয় জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এখনো পূজা পার্বণ, পারলৌকিক ক্রিয়া কর্ম, আচার অনুষ্ঠান প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার অব্যাহত। এই ঘাস লবণাক্ত জমিতেও স্বচ্ছন্দে জন্মাতে পারে। মূল ও তার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতি অল্প সময়ে ঘন ঝোপের সৃষ্টি করে ভূমিক্ষয় রোধের মাধ্যমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারে কারণ এর মূল মাটির গভীরে ৩-৩.৫ ফুট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

 

৪. Vetivaria zizaniodes (খাস, ঊষিরা, রেশিরা): এই ঘাস খরাপ্রবণ এলাকাতেও স্বচ্ছন্দে জন্মায় এবং বেড়ে ওঠে। শক্ত ও দৃঢ় শিকড় মাটির ৩-৪ ফুট গভীর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কাদা, পলি, ধুলোর আস্তরণে ঢেকে গেলে নতুন মূল দ্রুত গজায় এবং নতুন জমা আস্তরণ কে আটকে রাখে।

 

এই সমীক্ষায় উপজীব্য নদী গুলি হল- কেলেঘাই, শিলাবতী, কাংসাবতী, সুবর্ণরেখা। সবগুলি নদী ই বিহারের ছোটোনাগপুর মালভূমি থেকে সৃষ্ট। মূলতঃ বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদী গুলি খরা মরশুমে প্রায় শুকিয়ে যায়। কিন্তু ভরা বর্ষায় নদী গুলি ফুলে ফেঁপে ওঠে। জলস্রোত প্রতিনিয়ত গতিপথ বদলায়। ফলে কখন কোন অঞ্চলের নদী বাঁধ ভাঙবে তার নিশ্চয়তা থাকে না। উক্ত নদী গুলির ভূমির গঠন বৈচিত্র্য ভিন্ন ভিন্ন। ফলে নদীর স্রোতের বেগ, ঢেউ এর প্রকৃতি, গভীরতার পার্থক্য বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। তাই চিরাচরিত প্রথায় বন্যা প্রতিরোধ কখনোই সম্ভব নয়। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য যুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ ও নদী বাঁধের ওপর বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ সমৃদ্ধ অরণ্য সৃষ্টি ই বন্যা প্রতিরোধের এক মাত্র উপায়।

 

এই সমীক্ষায় যে অঞ্চল গুলির উপর বিশেষ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সেগুলি হলো- কাঁটাখালি, ভগবানপুর, ট্যাংরাখালি – (কেলেঘাই নদী); মেদিনীপুর, তেরাপাখিয়া, পাঁসকুড়া – (কংসাবতী নদী); ঘাটাল, খাড়ল – (শিলাবতী)।

 

পরীক্ষামূলক ভাবে চার প্রকার ঘাসের বীজ ওই এলাকায় বপন করা হয়। উল্লিখিত ভাঙন প্রবন এলাকা গুলির উদ্ভিদায়ন টানা চার বছর ধরে লক্ষ্য করে দেখা যায় যে ঐ এলাকা গুলিতে ঘাসের বৃদ্ধি যথাযথ হয়েছে। পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট অঞ্চল গুলি অপেক্ষা ঐ অঞ্চল সংলগ্ন অন্যান্য অঞ্চল গুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল ভূমিক্ষয় অপেক্ষাকৃত বেশি। যে অঞ্চল গুলির মাটিতে সরুবালির পরিমাণ বেশী সেখানে ভূমিক্ষয় অনেক বেশী। কিন্তু যেখানে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে সেখানে ভূমিক্ষয় অপেক্ষাকৃত কম। নদী বাঁধের যে অঞ্চলে  ভূমিক্ষয় ঘটছে ঠিক তার বিপরীত পাশে বাঁধের মুখে নতুন করে পলি জমা হচ্ছে। সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে নদী বাঁধের ভূমিক্ষয় ওই অঞ্চলের উদ্ভিদের সংখ্যা, প্রকৃতি এবং প্রজাতির উপর বিশেষ ভাবে নির্ভরশীল। নদী বাঁধের গাছ গুলি ধসের থেকে বাঁধ কে রক্ষা করে, অন্য দিকে বাঁধে ঘাসের আস্তরণ ভূমিক্ষয় রোধ করে।

 

নদী বাঁধে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বনাঞ্চল অপেক্ষা বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতি তে সৃষ্ট কৃত্রিম বনাঞ্চল অনেক বেশী কার্যকরী।

 

দক্ষিণ বঙ্গের বহু নদী, শাখা নদী, ঝোরা এই অঞ্চলে প্রবাহিত ও বহু অঞ্চলের বন্যার কারণ। বন্যা রোধ এবং নদী বাঁধের ভূমিক্ষয় রোধের জন্য সমীক্ষার সুপারিশ -

 

১. যে অঞ্চলে ঘাস রোপণ করা হবে সেখানকার মাটি, আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঘাসের প্রজাতি নির্বাচন করতে হবে।

 

২. সঠিক পদ্ধতিতে ঘাস রোপণ করতে হবে।

 

৩. দ্রুত বেড়ে ওঠা এবং দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এমন প্রজাতির ঘাস বেছে নিতে হবে।

 

৪. ঘাস গুলি যাতে বেশী দিন বেঁচে থাকে এবং তাদের মূল গুলি যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৫. স্বল্প মেয়াদী পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভাঙন প্রবন এলাকার বনাঞ্চল এবং ঘাসের আস্তরণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

-এক্ষেত্রে PWD, Rail, বনদপ্তর, সেচ দপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগ বিশেষ কার্যকরী হতে পারে।

 

  • বন্যার মূল কারন হল- পলি জমে ভর্তি হয়ে যাওয়া নদী খাত এবং অনিয়ন্ত্রিত বেআইনি বালি খনন। পরিকল্পিত খনন কার্যের সাহায্যে নদী খাতের গভীরতা বৃদ্ধি করতে হবে।

 

  • ভাঙন প্রবন অংশে বিভিন্ন আকারের পাথর বসিয়ে নদী বাঁধ কে দৃঢ় করতে হবে।

 

  • দ্রুত বেড়ে ওঠা ও শক্ত মূল যুক্ত ঘাস বসাতে হবে।
  • এই প্রতিবেদনে যে চার প্রকার ঘাসের কথা বলা হয়েছে তা ছাড়াও ওই ধরনের অন্যান্য ঘাস যা ওই অঞ্চলে বেড়ে ওঠে তা ব্যাবহার করতে হবে।

সর্বোপরি স্থানীয় মানুষজনের সক্রিয় সহযোগিতা এবং উদ্যোগ এই কাজ কে সফল করতে তুলতে পারে। এই পদ্ধতিতে অল্প খরচে স্থায়ী ভাবে ভূমিক্ষয় রোধ সম্ভব। সরকারি উদ্যোগ, স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা, সর্বোপরি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক পরিকল্পনা দক্ষিন বঙ্গের বাৎসরিক বন্যার ভয়াবহতার স্থায়ী সমাধান হতে পারে। ঘুর্ণিঝড়ের ভ্রকুটিও আর ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না মাঠ, ঘাট, খেত, বাড়ি-ঘর। অনেক নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন মানুষ।

Mailing List