সাফল্যের পথে এগিয়ে চলেছে পুরুলিয়া জেলার উদ্যানপালন খামার

সাফল্যের পথে এগিয়ে চলেছে পুরুলিয়া জেলার উদ্যানপালন খামার
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: পুরুলিয়া জেলায় কোনও উদ্যানপালন খামার ছিল না। জেলার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফলের চারা, সবজি চারা বা বীজ,ফুলের বীজ বা চারা, বিভিন্ন মশলার বীজ বা চারা ও অন্যান্য উদ্যানজাত গাছের চারা যাতে জেলাতেই উৎপাদিত হয়,তার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। সে বিষয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের প্রধান সচিব ড. সুব্রত গুপ্ত সাহেবের পরামর্শে প্রথম উদ্যোগ নেন তৎকালীন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। তিনি পুঞ্চা ব্লকের কেন্দা থানার অন্তর্গত হরিহরপুর মৌজায় জমি চিহ্নিত করে ড. সুব্রত গুপ্ত সাহেবকে ১৬ ই জুলাই ২০২০ সালে চিঠি লেখেন। সময় মতো খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের আদেশ মোতাবেক এক পরিদর্শক দল জায়গাটা উপযুক্ত কিনা তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। উদ্যানপালন খামারের উপযুক্ত বলে জেলা থেকে রিপোর্ট যায়। ২০২২ সালের ২০ সে অক্টোবর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের নামে পুঞ্চা ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুব্রত বিশ্বাস উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা ড. সমরেন্দ্র নাথ খাঁড়াকে জমি হস্তান্তরিত করেন। পুঞ্চা ব্লকের কেন্দা থানার অন্তর্গত হরিহরপুর মৌজায় হরিহরপুর গ্রামের, জে,এল নং ৩০, দাগ নম্বর ২০৬০,মোট জমির পরিমাণ ৩০.২৪ একর অর্থাৎ প্রায় ৯৯৭.৯২ বিঘা। পাকা ঢালাই রাস্তার ধারে আয়তাকার উঁচু জমি। সাথে একটা পুকুর আছে। এটি আগে 'হরিহরপুর মাটির সৃষ্টি ' ছিল।এর কাছেই হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস, সিইএসসি অফিস আছে। সংলগ্ন শবর গ্রাম আছে।
এটাকে আগামী দিনে 'উদ্যানপালন উৎকর্ষ কেন্দ্র' (Centre of Exellency) করার ভাবনা আছে। প্রস্তাবিত কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে - উদ্যানজাত গাছের চারা, বীজ তৈরী, আধুনিক সুরক্ষিত পরিকাঠামো, যেমন - পলি হাউস, শেড নেট হাউস তৈরী ও তার মধ্যে চাষাবাদ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা। পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়ায় উদ্যানজাত গাছ উপযোগী কিনা তার গবেষণা করা।কম জলে উদ্যানজাত গাছের চাষ। সুস্থায়ী ও জৈব উদ্যানজাত চাষ।উদ্যানজাত ফসলের প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ। জমিটির চারদিকে প্রাচীর দেবার জন্য পুরুলিয়া জেলা পরিষদ থেকে ডিপি আর তৈরী হয়েছে; শীঘ্র কাজ শুরু হবে।এই খামারের মাধ্যমে পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের অন্যান্য জেলার উদ্যানপালনের সার্বিক উন্নয়ন হবে।


