জেলা সফরেই ইঙ্গিতটা ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বদল, বাংলার মাটি মমতার চেয়ে এখন ভালো চেনে কে?

জেলা সফরেই ইঙ্গিতটা ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বদল, বাংলার মাটি মমতার চেয়ে এখন ভালো চেনে কে?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত নির্বাচন আর বেশি দূরে নেই। সামনেই বর্ষা। আর বর্ষা পেরোলেই যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামাম বেজে যাবে তা নিজেই পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার আগে জেলা সফরে বেরিয়েছিলেন। প্রথমেই উত্তরবঙ্গে যান। তারপর দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম। পরবর্তীকালে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা।
প্রতিটি জেলাতেই প্রশাসনিক বৈঠক করেন। কিন্তু এবার তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন। সে তথ্য দুর্নীতির তথ্য। প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদাসীনতার তথ্য। জ্বলন্ত উদাহরণ স্বরূপ তা তুলে ধরেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকেই। তারপরই বদলির ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি।
শুধুমাত্র বদলির ইঙ্গিত দেননি বাঁকুড়া জেলায়। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কেউ বললেই তিনি ডিএম, এসপি-দের বদলি করবেন না। এই ডিএম এসপি দের নিয়েই চলতে হবে। এমনকী, বাঁকুড়া জেলার ডিএম স্বামীও যে ডিএম তাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার একাধিক ডিএম এর বদলি হয়েছে। বদলি হয়েছে পদস্থ আধিকারিকদের। কিন্তু বাঁকুড়ার ডিএম এর বদলি হয়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন প্রতিটি জেলা সম্পর্কে। সে তথ্য ছিল একেবারে তৃণমূল স্তরে। পঞ্চায়েতেরও নিচুতলায়। তারপরই তিনিজেলা সফরে ইঙ্গিত দেন। জেলা সফর শেষ করে ফিরতেই বেরিয়ে যায় বদলির নির্দেশ।
বদলি হয়েছেন একাধিক পদস্থ আধিকারিক। সবই কী আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে? ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, মুখ্যমন্ত্রী আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছেন। কারণ, তারপরই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি ঠিক মতো হয়, তাহলে গত লোকসভার মতো বিজেপি হাওয়া দিয়ে এত আসন নিয়ে যেতে পারবে না। যে অঙ্ক মেনেই শুরু বদলি। যদিও প্রশাসনিকভাবে রুটিন বদলিই বলা হচ্ছে।
রাজ্যের ৮টি জেলার জেলাশাসকদের বদলি করার নির্দেশ বেরিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও মালদা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কোমল যাচ্ছেন রাজ্যের ডিএলআরএস হয়ে। আর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক হচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানী এ।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী হচ্ছেন উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক। আর উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা হচ্ছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক। মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র হচ্ছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক।
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত স্পেশাল সেক্রেটারি হচ্ছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার হচ্ছেন আসানশোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার ও সিইও আসানশোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক হিসেবে আসছেন রজত নন্দ। মালদার জেলাশাসক হচ্ছেন নিতীন সিংহানিয়া। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক হচ্ছেন খাদ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব সুনীল আগরওয়াল। এছাড়াও বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকদেরও বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য


