কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচকের ঘটনার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল, দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি ফিরছেন রাজ্যে

কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচকের ঘটনার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল, দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি ফিরছেন রাজ্যে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় থানায়। পোড়ানো হয় পুলিশের গাড়ি। জনতার ছোঁড়া ইটের ঘায়ে আহত হন ১৭ জন পুলিশকর্মী। জখম হন সাংবাদিকরাও। পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে। সেখান থেকেই কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল। এরই মধ্যে মালদহের কালিয়াচকেও এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই মৃত্যুরও রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল দিল্লি সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি রাজ্যে ফিরে আসছেন। মঙ্গলবার রাতে অথবা বুধবার সকালের বিমানে তিনি রাজ্যে ফিরছেন। তার আগে এদিন বিকালে কালিয়াগঞ্জের খবর দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পৌঁছে যায়। খবর পেয়েই দিল্লি থেকে মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কালিয়াগঞ্জের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়ে পাঠান। সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল, নাবালিকার কীভাবে মৃত্যু হল, মামলা ও তদন্তের কতটা কী অগ্রগতি, এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি কী, সবটাই বিস্তারিত ভাবে রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। শুধু মৌখিক বার্তা দেওয়া নয়, এদিনের থানায় বিক্ষোভ, আগুন লাগানো সহ গোটা ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে তাও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবার দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ছিল রাজ্যপালের। সেই সমস্ত কর্মসূচি শেষ করেই কলকাতা ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত কর্মসূচি, বৈঠক বাতিল করেই তড়িঘড়ি কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল।
একই সঙ্গে মালদহের কালিয়াচকে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় ইতিমধ্যে মালদহ জেলার এসপিকে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কানুনগো।


