খুশির খবর উত্তরবঙ্গে, আরও কয়েকটি বন্ধ চা বাগান খুলছে শীঘ্রই

খুশির খবর উত্তরবঙ্গে, আরও কয়েকটি বন্ধ চা বাগান খুলছে শীঘ্রই
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানের অধিকাংশই খোলা সম্ভব হয়েছে বলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না দাবি করেছেন। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আজ বুধবার তিনি জানান, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার সময় রাজ্যে বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা ছিল ৬৭। এই মুহূর্তে ওই সংখ্যা মাত্র ৯। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি চা বাগান খুলে যাবে।
এক অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন বর্তমানে বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগানের মত ৫৪২৩ জন শ্রমিককে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এছাড়াও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর তাঁদের বিনামূল্যে চাল, ১০০ দিনের কাজ, ভ্রাম্যমান চিকিৎসা পরিষেবার মত নানা সুবিধা দিচ্ছে। চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধাও পাচ্ছেন চা বাগানের শ্রমিকেরা। বাগান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাঁদের ভাতাও বাড়ানো হয়েছে।তবে কেন্দ্রীয় সরকার চা বাগানের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বকেয়া রেখেছে বলে বেচারাম মান্না অভিযোগ করেন।তিনি বলেন ওই বকেয়ার জন্য তার দফতর কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছে।
উল্লেখ্য, দুদিন আগেই উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের জন্য ১৫% হারে বর্ধিত মজুরি ঘোষণা করেছে রাজ্য শ্রম দফতর। খানিকটা স্বস্তি এসেছে শ্রমিকদের মধ্যে। সেই ঘোষণা সপ্তাহ কালের মধ্যে মঙ্গলবার অন্তবর্তিকালীন মজুরি বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের অধিকর্তা অমরনাথ মল্লিক। গত ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে এই বর্ধিত মজুরি কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সেই হিসাবে এখন শ্রমিকদের মজুরি ৩০টা বেড়ে হবে ২৩২ টাকা। স্টাফ ও সাব স্টাফদের গ্রস বেতনের উপর ১৫ % হারে বর্ধিত হবে। যতদিন পর্যন্ত নুন্যতম মজুরি ঘোষণা না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই মজুরি কার্যকর থাকবে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বর্ধিত মজুরির বকেয়া জুলাই মাসের মধ্যে দিতে চাবাগান গুলির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। এই বিঞ্জপ্তির কপি মালিক পক্ষের ১১টি সংগঠন ও ৩৪ টি সংগঠনককে দেওয়া হয়েছে।


