প্রথম দূর্গাপূজা, আট থেকে আশি আনন্দে মাতল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ ব্লকের চাঁঙ্গুড়ি গ্রামে

প্রথম দূর্গাপূজা, আট থেকে আশি আনন্দে মাতল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ ব্লকের চাঁঙ্গুড়ি গ্রামে
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া
গ্রামে হত না কোনও দূর্গাপূজা। তাই দূর্গা ঠাকুর দেখতে গ্রামের বাসিন্দাদের যেতে হত অন্যত্র। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল এই রীতি।এবার সেই রীতিকে ভেঙে নজির গড়ল গ্রামের যুবকেরা। মূলত গ্রামের যুবকদের উদ্যোগেই এবছর গ্রামে দূর্গা প্রতিমা গড়িয়ে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত করে গ্রামের আট থেকে আশি মেতে উঠেছিল আনন্দে। পূজোর কটা দিন যেন গ্রামের ব্রাক্ষণ পরিবারগুলি একটি পরিবারে রূপান্তরিত হয়ে গিয়ে খাওয়াদাওয়া থেকে আনন্দ উপভোগে একটি পরিবারে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এমনি ঘটনার সাক্ষী হল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের চাঁঙ্গুড়ি গ্রাম।
পূজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে কাজল মিশ্র, বুবাই মিশ্র, দেবাশিস মিশ্ররা জানান, আমাদের প্রত্যন্ত এলাকার এই চাঁঙ্গুড়ি গ্রামে হত না কোন দূর্গাপূজা।গ্রামের মহিলা থেকে প্রত্যকেই অন্যত্র যেতে হত ঠাকুর দর্শন করার জন্য। এইজন্য ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত প্রত্যকেই।আত্মীয়রাও গ্রামে দূর্গাপূজা না হওয়ার জন্য আমাদের এই চাঁঙ্গুড়ি গ্রামটিকে আলাদা চোখে দেখত।যা আমাদের প্রত্যকের কাছে খুব খারাপ লাগত।তাই এবছর আমরা নিজেদের উদ্যোগে নিজেরাই অর্থ দিয়ে দূর্গাপ্রতিমা গড়িয়ে চাঁঙ্গুড়ি ব্রাক্ষণপাড়া সর্বজনীন দূর্গাপূজা কমিটির ব্যানার দিয়ে গ্রামে প্রথম দূর্গাপূজা শুরু করলাম।পুজোর কটাদিন গ্রামের প্রথম দূর্গাপূজাতে এক অনাবিল আনন্দ উপভোগ করল সকলেই।অন্যান্য বছরও এই পূজো আমরা চালিয়ে যাব।
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা তথা প্রাক্তন শিক্ষক অনাদি মিশ্র এবছর গ্রামের প্রথম দূর্গাপূজার ফিতা কেটে পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি জানান, কি যে আনন্দ হয়েছে গ্রামে প্রথম দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য। তা ভাষায় বলে বোঝানো সম্ভব নয়।এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের তথা প্রত্যেকেই ধন্যবাদ জানাব। আগামীদিনেও তারা যেন মায়ের পুজো আরো ভালভাবে করতে পারে তারজন্য জগৎমাতা জগৎজননীর কাছে করজোড়ে এই প্রার্থনা করি।


