কলেজের মধ্যে দুই শিক্ষকের মারামারি, থামাতে গিয়ে মার খেলেন অধ্যক্ষও, ভাঙলো হাতের হাড়! বঙ্গবন্ধু কলেজের ঘটনায় হতবাক সকলে

কলেজের মধ্যে দুই শিক্ষকের মারামারি, থামাতে গিয়ে মার খেলেন অধ্যক্ষও, ভাঙলো হাতের হাড়! বঙ্গবন্ধু কলেজের ঘটনায় হতবাক সকলে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: কলেজে দুই শিক্ষকের মারামারি। আর সেই মারামারি থামাতে ছুটে যেতে হল অধ্যক্ষকে। মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হলেন অধ্যক্ষও। দু’পক্ষের মারামারির মাঝে পড়ে হাতের হাড় ভাঙে অধ্যক্ষের। খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মারামারি থামায়। ঘটনায় অধ্যক্ষ-সহ তিনজনই কমবেশি জখম হন। প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজশাহীতে, বঙ্গবন্ধু কলেজে।
জখম কলেজের অধ্যক্ষের নাম কামরুজ্জামান। মারামারিতে অভিযুক্ত দু’জন হলেন কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ও সমাজকর্ম বিষয়ের শিক্ষক আবদুল্লাহ হেল শাফি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহ হেল শাফি ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে প্রথমে বিতর্ক শুরু হয়। আবদুল্লাহ হেল শাফির দাবি, কলেজের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তা নিয়ে তিনি কথা বলতে যাওয়ায় তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। উল্টোদিকে গিয়াস উদ্দিনের দাবি, কলেজ সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যক্ষকে জড়িয়ে তাঁর সম্বন্ধেও কুকথা বলছিলেন আবদুল্লাহ হেল শাফি। প্রতিবাদ করতেই তিনি মারতে উদ্যত হন। অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানেরও দাবি, তাঁর কক্ষে শিক্ষক আবদুল্লাহ হেল শাফি প্রথমে গিয়াস উদ্দিনের গায়ে হাত তোলেন।
তবে এব্যাপারে অবশ্য কোও পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। বিষয়টি কলেজ পরিচালন সমিতিতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। পরিচালন সমিতিই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কলেজের মধ্যে দুই শিক্ষকের মারামারির ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষামহলে ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।


