আলু চাষে বিপদ ডেকে আনছে শীতের কুয়াশাভরা আবহাওয়া, এমনই আশঙ্কা করছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা

আলু চাষে বিপদ ডেকে আনছে শীতের কুয়াশাভরা আবহাওয়া, এমনই আশঙ্কা করছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা
03 Jan 2023, 07:59 PM

আলু চাষে বিপদ ডেকে আনছে শীতের কুয়াশাভরা আবহাওয়া, এমনই আশঙ্কা করছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: শীতের দেখা নেই অথচ কুয়াশায় ভরে থাকছে চারপাশ। এই অবস্থা আলু চাষের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। এই কুয়াশা থেকেই দেখা দিতে পারে ধসা রোগ-সহ বিভিন্ন রোগ পোকার আক্রমণ। এমনই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের শস্য ভাণ্ডারের পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা।

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এবার আলু চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়া এখন কৃষকদের ক্ষেত্রে কাছে চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ বার পুজোর পর আলুর দাম ক্রমশ কমতে থাকলেও প্রথম দিকে ভালই দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। সাতশো আটশো টাকা বস্তা পর্যন্ত আলুর দাম উঠেছিল। বেশিরভাগ ছোট বা মাঝারি চাষি তখন আলু বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এবারও প্রথমদিকে আলুর দাম মিলবে এই আশায় আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। কিন্তু বাধ সাধতে পারে বিরূপ আবহাওয়া।

চাষের জন্য চাই মেঘমুক্ত পরিবেশ। রোদ ঝলমলে দিন ও জাঁকিয়ে ঠান্ডা আলু চাষের পক্ষে অনুকূল। এতে আলু গাছ খুব সুন্দর বাড়ে। আলুর ফলন ভাল হয়। কিন্তু এবার সেভাবে বৃষ্টি না হলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা নাই এখনও। সেই সঙ্গে মেঘলা আবহাওয়া থাকছে দিনের পর দিন। মাঝেমধ্যে কুয়াশায় ভরে উঠছে চারপাশ। এর ফলে আলু গাছে ধসা রোগের আক্রমণের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

শীতের কুয়াশায় আলুর গাছের পাতা অনেক সময় কুঁকড়ে যায়। শেষে শুকিয়ে যায় গোটা গাছ। ঠিক যেন ঝলসানো গাছের মতো দেখতে হয়ে যায়। শেষে আলুর গাছ মারা যায়। কৃষকরা বলছেন,কুয়াশার হাত থেকে বাঁচাতে ডাইসেন এম ৪৫ এবং বায়োডেক্স পাউডার দিয়ে চাষ করা হয়েছে। এই পাউডারটির দাম ৪০০ টাকা কেজি। এক কেজি পাঁচ বিঘা জমিতে দেওয়া যায়।

ধসা রোগে আক্রান্ত হলে আলু গাছে বর্দোমিক্সচার অথবা ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম করে মিশিয়ে সাত দিন পরপর ছেটাতে হবে। এ ছাড়া এই রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত গাছটি তুলে মাটিচাপা কিংবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। জমিতে জল সেচ বন্ধ রাখতে হবে।

Mailing List