বিএ পাশ করা ছেলে চাকরি না পেয়ে বাঁশ কাটছে! শুনেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন লোধা-শবরদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নাও

বিএ পাশ করা ছেলে চাকরি না পেয়ে বাঁশ কাটছে! শুনেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন লোধা-শবরদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নাও
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় লোধা-শবরের সংখ্যা কম নয়। জেলার ১৯টি ব্লকের মধ্যে ১৩ ব্লকে রয়েছে এই সম্প্রদায়ের মানুষজন। জনসংখ্যা প্রায় ৪০-৪৫ হাজার।
কিন্তু শিক্ষায় দীক্ষায় পিছিয়ে। লোধা-শবর কল্যান সমিতির নেতা বলাই নায়েক জানান, ৮০টি পরিবারে একজন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। ৪০-৪৫ হাজার লোধার মধ্যে মাত্র ২০-২২ জন বিএ পাশ, ২ জন এমএ পাশ, ২ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। বেশিরভাগ লোধা ছেলেমেয়েরা পড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। কারণ, পড়েও চাকরি মেলেনি।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বলাইবাবু আবেদন জানান, ‘‘অন্তত ঝাড়ু মারারও চাকরি দিন। নাহলে পড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সবাই। বিএ পাশ ছেলে কাঁচা বাঁশ কাটছে!’’ শুনেই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক রশ্মি কোমলকে নির্দেশ দেন, লোধাদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নাও।
লোধা-শবরদের জন্য অবশ্য আরও বেশকিছু উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর সফরে আসার সময় লোধা-শবরদের বিষয়ে খোঁজ নেন। তখন বলাই নায়েক জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৯টা ব্লকের মধ্যে ১৩টা ব্লকে লোধারা রয়েছে। দাঁতন-১, খড়্গপুর-২ এবং মেদিনীপুর সদরে লোধা ছেলেদের পড়ার জন্য আশ্রম হস্টেল নেই। যদি একটা করে আশ্রম হস্টেল করা যায়।
চার পাঁচটা গ্রাম নিয়ে একটি করে আশ্রম হস্টেল করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পড়াশোনা-সব বিনা পয়সায়। পড়াশোনার জন্য এগিয়ে আসতে বলো। আমরা নিখরচায় ট্রেনিং দিচ্ছি। লোধা এলাকায় কোচিং সেন্টার করার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
লোধা শবররা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে খুশি হলেও তাতে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানান বলাইবাবু। তাঁর অভিযোগ, নানা আছিলায় নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, পুলিশে এফআইআর করবে। পুলিশ খতিয়ে দেখবে। ওখানে একটা হেল্প লাইন নম্বর আছে। কমপ্লেন করবে। সরকার ব্যবস্থা নেবে। মিথ্যে কথা বললে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।



