মালদহে রোগীর আত্মীয়কে মোবাইল ছুড়ে মারার অভিযো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে! মহিলা চিকিৎসক পাল্টা গুরুতর অভিযোগ আনলেন

মালদহে রোগীর আত্মীয়কে মোবাইল ছুড়ে মারার অভিযো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে! মহিলা চিকিৎসক পাল্টা গুরুতর অভিযোগ আনলেন
নারায়ণ সরকার, মালদা
নিজের এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ডাক্তারকে রোগীর রিপোর্ট দেখিয়ে ওষুধ চাইতে গেলে রোগীর আত্মীয়র ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন ওই চিকিৎসক। এমনকী, মোবাইল পর্যন্ত রোগীর মুখে ছুড়ে মারেন তিনি। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার রাতভর রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছাড়ানোর খবর পেয়ে ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গভীর রাত্রে ঘন্টা চারেক বিক্ষোভের পর পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল গভীর রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার মশালদা গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত্রে ভালুকা অঞ্চলের লতাশি গ্রামের বাসিন্দা তাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তাঁর আত্মীয়াকে নিয়ে এসেছিলেন ওই হাসপাতালে। এর জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছিলেন চাঁচল থেকে। তাজিমউদ্দিনের অভিযোগ, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডক্টর ফারহানা ইয়াসমিনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজ দেখাতে গেলে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এবং তার মুখের উপর মোবাইল ছুড়ে মারেন বলেও অভিযোগ। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হাসপাতালে উপস্থিত থাকা রোগীর আত্মীয় পরিবার-পরিজন এবং অন্যান্য লোকেরা। তারা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। ছুটে যায় ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভ আরো উত্তাল হয়ে ওঠে। এরপরে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গভীর রাতেই ঘন্টা চারেক বিক্ষোভ চলার পরে তাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই চিকিৎসক ডাঃ ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘একজন হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু রোগী নিয়ে আসেননি। সমস্যার কথা বলে প্রেসক্রিপশন লেখার কথা জানান। আমি বলি, রোগী না দেখলে ওষুধের ব্যাপারে লেখা সম্ভব নয়। তখনই উনি উত্তেজিত হয়ে ফোনে লোকজন ডাকেন। আমাদের মারতে উদ্যত হন। আমরা প্রাণ ভয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে দরজা ভাঙারও চেষ্টা করা হয়। আমরা কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি।’’


