ঘরের ভেতর বাসা বেঁধেছিল পূর্ণবয়স্ক গোখরো, মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো আরও ২০টি ডিম!

ঘরের ভেতর বাসা বেঁধেছিল পূর্ণবয়স্ক গোখরো, মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো আরও ২০টি ডিম!
কুহেলি দেবনাথ, শান্তিপুর
কে জানতো যে, বাড়ির ভেতর বাসা বেঁধেছিল গোখরো। শুধু নিজে থাকা নয়, এবার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশও তৈরি করেছিল। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাড়ির মালিক হীরালাল বিশ্বাস। অথচ, ওই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। ওই বাড়িতেই বাচ্চাদের প্রাইভেট টিউশনও পড়াতেন!
কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার রাতে একবার নজরে আসে সাপটির। একবার দেখার পরেই সাপটি কোথায় মিলিয়ে যায়। রাতে বলে আর ঝুঁকি নেননি। ঘরে আলো জ্বেলে রেখে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাইরেই রাতও কাটান। পরদিন অর্থাৎ বুধবার বন দফতরে খবর দেন। কিন্তু বন দফতরের আসতে দেরি দেখে স্থানীয় সর্পপ্রেমী অনুপম সাহাকে খবর দেন। তিনি এসে মাটি খুঁড়তেই অবাক। শুধু তো সাপ নয়, সঙ্গে রয়েছে ২০টি ডিম। দু’চারদিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতো। তখন সেখানে আর কাউকে থাকতে হত না।
এমনই ঘটনা দেখা গেল নদিয়া জেলার শান্তিপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের গবার চর পূর্বপাড়ায়। বাড়ির মালিক হীরালাল বিশ্বাস জানান, ওই ঘরের মধ্যে এলাকার বেশ কিছু শিশুদের প্রাইভেট টিউশন পড়াতেন। গতকাল রাতে ঘুমোতে গেলে ঘরের মেঝেতে একটি সাপ ঘোরাফেরা করতে দেখেন। তড়িঘড়ি সাপের ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরে রাত কাটান। বুধবার সাতসকালে বনদপ্তরে ফোন করলে সেখান থেকে কোন প্রতিক্রিয়া না মেলায় শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী অনুপম সাহা কে ফোন করেন।
পরে অনুপম সাহা এসে ওই ঘরের মেঝে থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক গোখরো সাপ ও সঙ্গে কুড়ি টি ডিম উদ্ধার করে। উদ্ধারকর্জের শেষে অনুপম সাহা জানান, সাপ ও ডিমগুলি বাহাদুরপুর পলাশ গাছি বিটের বন কর্মীদের হাতে তুলে দেবেন। এই সময়ে সাপের দেখা না মিললে হয়তো ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়ত হতে পারতো। যেহেতু বাচ্চাদের ওই ঘরেই টিউশন পড়াতেন হীরালালবাবু।



